আশরাফুলের ২৬ টুকরা দেহ উদ্ধার: বন্ধুসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩:২৪, ১৪ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৪:০১, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
আশরাফুলের ২৬ টুকরা দেহ উদ্ধার। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর সুপ্রিম কোর্টের সামনে কেন্দ্রীয় ঈদগাহের পাশ থেকে নীল রঙের একটি ড্রামের ভেতর খণ্ডিত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া মরদেহের পরিচয় মিলেছে। নিহত ব্যক্তি রংপুরের বদরগঞ্জের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আশরাফুল হক (৪২)। এই হত্যাকাণ্ডে আশরাফুলের বন্ধু জরেজ মিয়াসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেছে নিহতের পরিবার।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিন দিন আগে মালয়েশিয়াফেরত বন্ধু জরেজ মিয়ার সঙ্গে ঢাকায় আসেন আশরাফুল। বাবাকে হাসপাতালে রেখে তাড়াহুড়া করে যাত্রা করেছিলেন তিনি। শেষবার স্ত্রী লাকী বেগমের সঙ্গে কথা হয় বুধবার বিকেল ৫টায়।
সেদিন তিনি স্ত্রীকে বলেছিলেন—“বাবাকে কাল রিলিজ দেবে, টাকাপয়সা দিছি… বাবাকে নিয়া আইসো।”
এরপর থেকে লাকী বেগম স্বামীর নম্বরে ফোন দিলে রিসিভ করতেন জরেজ। জানাতেন—“আশরাফুল ব্যস্ত আছে, কালেকশনে গেছে।”
বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত আশরাফুলকে না পেয়ে লাকী বেগম এবং তাঁর ভাই আবদুল মজিদ বদরগঞ্জ থানায় যান। সেখানে জানতে পারেন—ঢাকার শাহবাগ এলাকায় নীল ড্রাম থেকে ২৬ টুকরা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে আঙুলের ছাপ মিলিয়ে নিশ্চিত হয়, সেটিই আশরাফুলের দেহ।
আবদুল মজিদ বলেন—“বৃহস্পতিবার ফের ফোন দিলে আবার জরেজ ধরে, কিন্তু আশরাফুলকে দেয় না। জরেজের স্ত্রীর কাছে গেলে সে বলে—ফোন নাকি ড্রেন থেকে কুড়ানো!”
তিনি আরও বলেন—“আইসা শুনি তাকে খুন করছে। আমরা হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।”
শুক্রবার সকালেই নিহতের পরিবার শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় জরেজ মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর বলেন—“আঙুলের ছাপের মাধ্যমে মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। ঘটনার সব দিক তদন্ত করা হচ্ছে।”
পরিবারের দাবি: প্রকৃত খুনি চিহ্নিত করে,দ্রুত গ্রেপ্তার,সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে এলাকাজুড়ে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
