রাতের রাজধানীতে আতঙ্ক, রাস্তাঘাট ফাঁকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩:৪৩, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসৃচিকে ঘিরে গত দুদিন ধরে রাজধানীতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ছবি: সংগৃহীত
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসৃচিকে ঘিরে গত দুদিন ধরে রাজধানীতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বুধবারের মতো আজ বৃহস্পতিবারও সন্ধ্যার পর থেকেই রাস্তাঘাট নিরব হয়ে পড়ে। যানবাহন কমে যায়। জনসাধারণও ছিল কম।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালেও রাজধানীতে রাস্তাঘাটে যানবাহন কম ছিল। দুপুরের পর ধীরে ধীরে বেড়েছে। তবে সন্ধ্যার পর তা আবারও কমেছে।
আজ বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিল। তবে কি ধরণের কর্মসূচি তা স্পষ্ট জানা যায়নি। সেই কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকেই এর প্রভাব পড়তে শুরু করে রাজধানীতে।
বিশেষ করে রাজধানীতে গত বুধবার বিভিন্ন জায়গায় অগ্নি সংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে বুধবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাত-আটটি যানবাহনে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। কিছু জায়গায় ককটেল বিষ্ফোরণও হয়।
নাশকতার অভিযোগে অব্যাহত ছিল পুলিশের গ্রেপ্তার। শুধু ঢাকা থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৪৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডি, মগবাজার, গুলিস্তান, উত্তর বাড্ডাসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সড়কে গণপরিবহন চলাচল তেমন একটা দেখা যায়নি। যেখানে প্রতিদিন রাজধানীর বড় বড় সড়কে যানজট লেগে থাকতো, সেই সড়কগুলো আজ প্রায় ফাঁকা।
পরিবহন সংকটের কারণে অফিস শেষে বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনেককেই বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। কেউ কেউ হেঁটেও গন্তব্যে পৌঁছেছেন।
পথচারিরা জানান, গত কয়েক দিনের বাস পোড়ানো ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় নগরবাসী আতঙ্কিত। অনেকেই জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না। তাছাড়া সড়কে গাড়ির সংখ্যাও কম।
সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী টার্মিনালে রাত আটটার দিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অগ্নিসংযোগের শঙ্কায় অনেক পরিবহন মালিক রাস্তায় বাস নামাননি। বড় কোম্পানির অল্প সংখ্যক বাস চললেও বেশিরভাগ মালিক আতঙ্কে বাস বন্ধ রেখেছেন এবং অগ্রিম টিকিট কাটা যাত্রীদের টাকা ফেরত দিয়েছেন।
পুরান ঢাকার ব্যস্ততম এলাকা বংশালেও আজ যানবাহনের চাপ নেই। রাত আটটার দিকে মালামালবাহী ট্রাকের আধিক্য বেশি ছিল। এছাড়া সাভারের প্রধান সড়কে অনেককে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। প্রতিদিনের তুলনায় আজ ২০-৩০ মিনিট সময়ের ব্যবধানে বাস চলাচল করছে।
