খাইবার পাখতুনখাওয়ায় দুই আইবিওতে ভারত–সমর্থিত ১৫জন নিহত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২০:৫৬, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
তারিখবিহীন এই ছবিতে পাকিস্তানি সেনা সদস্যদের টহল দিতে দেখা যাচ্ছে।ছবি: রয়টার্স
খাইবার পাখতুনখাওয়ার ডেরা ইসমাইল খান ও উত্তর ওয়াজিরিস্তানে পৃথক দুটি ইন্টেলিজেন্স–বেইজড অপারেশনে (আইবিও) অন্তত ১৫ জন ভারত–সমর্থিত সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআর।
আইএসপিআর জানায়, ৮–৯ নভেম্বরের মধ্যে দুইটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত ফিতনা আল খারেজি নেটওয়ার্কের উপস্থিতির তথ্যের ভিত্তিতে ডিআই খানের কুলাইচি এলাকায় প্রথম অভিযানটি চালানো হয়। এতে ১০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়, যাদের মধ্যে ছিল সংগঠনের রিংলিডার আলম মেহসুদ।
একই সময়ে উত্তর ওয়াজিরিস্তানের দত্তাখেল এলাকায় পরিচালিত আরেকটি আইবিওতে আরও ৫ জন সন্ত্রাসী সফলভাবে ‘নিউট্রালাইজ’ করা হয়েছে।
আইএসপিআর বলছে, এলাকায় এখনও কোনো ‘ভারত–সমর্থিত খারেজী’ লুকিয়ে আছে কি না—তা নিশ্চিত করতে স্যানিটাইজেশন অপারেশন চলছে। তাদের ভাষায়, জাতীয় কর্মপরিকল্পনার অধীনে অনুমোদিত ‘আজম-এ-ইস্তেহকাম’ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এই তৎপরতা আরও জোরদার করা হবে।
এদিকে মঙ্গলবার ভোরে খাইবার পাখতুনখাওয়ার বন্নু জেলার দু ঘোরা ব্রিজের কাছে একটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, বসিয়া খেল পুলিশ স্টেশন থেকে কয়েক ধাপ দূরে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিজেকে বিস্ফোরিত করে। বিস্ফোরণে হামলাকারী ছাড়া আর কেউ হতাহত হয়নি।
ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারীর দেহাবশেষ ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি বড় দল এলাকা ঘিরে ফেলে এবং তদন্ত শুরু করে।
১১ নভেম্বর ইসলামাবাদের জুডিশিয়াল কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলায় ১২ জন নিহত ও কমপক্ষে ৩৬ জন আহত হন। এরপর দেশজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত টিটিপি/ফিতনা আল-খারেজী সেলের চার সদস্যকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কগুলোকে পূর্ণ শক্তিতে নির্মূল করা হবে।
