গণহত্যা চালিয়ে কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল হাসিনা
ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১:৪৫, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।ছবি: সংগৃহিতত
ভোলার লালমোহনে এক মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ভয়াবহ দমন-পীড়নের অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা গণহত্যা চালিয়ে কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল।’
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে মঙ্গলসিকদার বাজারে শ্রী হরিসাধুর মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকালে সরকার আন্দোলনকারীদের দমনে প্রায় চৌদ্দশ ছাত্র–জনতাকে গুলি করে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে সাধারণ মানুষও ছিল, যারা গণতন্ত্র ও একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখার আকাঙ্ক্ষায় রাস্তায় নেমেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘এই গণহত্যার কারণেই শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ভারত সরকারের কাছে আবেদন করা হবে হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য—দেশে এলে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি গ্রহণ করতে হবে।’
গত দেড় দশকের শাসনামলকে ‘পৃথিবীর ইতিহাসে তুলনাহীন নিষ্ঠুর অধ্যায়’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা যে নির্যাতন চালিয়েছে—হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, ছাত্র আবু সাঈদসহ অসংখ্য তরুণকে গুলি করে মারা হয়েছে। তারা ভেবেছিল—এভাবে কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা যাবে। কিন্তু সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে তাদের পতন ঘটিয়েছে।’
হাফিজ উদ্দিন দাবি করেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে এবং দীর্ঘ অত্যাচারের পর মানুষ এখন ‘মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নিতে পারছে’।
মন্দির কমিটির সভাপতি পবন কান্তি শীলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জাফর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাবুল, পৌর বিএনপির সভাপতি ছাদেক মিয়া জান্টু, লালমোহন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিরব কুমার দে, ধলী গৌরনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. ইউসুফ মেম্বার, পশ্চিম শাখার সভাপতি দেলোয়ার হোসেন নসু, যুবদল সভাপতি আজাদ হোসেন সোহাগ প্রমুখ।
