হোয়াইটওয়াশে পরের সিরিজ নিয়ে ভাবনায় মিরাজ
প্রকাশ: ১৬:৫০, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। তিন ম্যাচেই হেরে টাইগারদের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। শেষ ম্যাচে ২৯৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৯৩ রানে গুঁটিয়ে যায় বাংলাদেশ দল। রানের হিসেবে এটি আফগানিস্তানের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়—২০০ রানের ব্যবধান।
আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সিরিজের শেষ ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য হয়ে দাঁড়ায় আরও এক হতাশার স্মৃতি। এর আগে ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুরে ৮২ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। সাত বছর পর সেই দুঃস্বপ্নই যেন ফিরে এল নতুন করে।
তৃতীয় ম্যাচে দলের হয়ে কেবল সাইফ হাসানই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেন—৪২ রান। এর পরের সেরা ইনিংস ৯ রানের হাসান মাহমুদের। আফগান বোলার বিলাল সামি তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার, আর রশিদ খান শিকার করেন ৩ উইকেট।
শেষ ১৩ ওয়ানডেতে মাত্র একটি জয়—এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে বাংলাদেশের ওয়ানডে দল এখন কতটা সংগ্রামে আছে।
এই ব্যর্থতা নিয়ে ম্যাচশেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন,“আমরা প্রতিটি পরাজয় থেকে শিক্ষা নিচ্ছি না। যতটা দরকার, ততটা উন্নতি আমরা করছি না। আমাদের ঘাটতি আছে, কিন্তু এই খেলোয়াড়দের নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের দল এতটা খারাপ নয়, যতটা ফলাফল দেখাচ্ছে।”
নিজেদের দুর্বলতা স্বীকার করে মিরাজ আরও বলেন,“আমাদের অনেক ভুল ছিল। রান করতে পারিনি। সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারিনি। তাদের বোলিং আক্রমণ ছিল দুর্দান্ত, কিন্তু আমাদের আরও ভালোভাবে সামলানো উচিত ছিল।”
এই ব্যর্থতায় বাংলাদেশ এখন র্যাঙ্কিংয়ে দশে নেমে গেছে, ফলে ২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সম্ভাবনা নিয়েও দেখা দিয়েছে শঙ্কা। বিশ্বকাপের সরাসরি যোগ্যতা অর্জনের জন্য সেরা নয় দলে উঠতে হলে সামনে বাকি ২৩ ম্যাচে ভালো ফল করতেই হবে।
তবে মিরাজের দৃষ্টি এখন পরবর্তী সিরিজে—ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ, যা শুরু হবে ১৮ অক্টোবর মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
এই সিরিজকে সামনে রেখে অধিনায়কের কণ্ঠে শোনা গেল নতুন উদ্যমের বার্তা—“আমরা কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে চিন্তিত। যদি রান না করি, জিততে পারব না। টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যাটারদের দায়িত্ব নিতে হবে। পরের সিরিজে কীভাবে ভালো করা যায়, সেটি নিয়েই এখন ভাবছি।”
বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ—হতাশার এই ধারা কাটিয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া। কারণ সামনে রয়েছে আরও কঠিন প্রতিপক্ষ, আরও কঠিন পরীক্ষা।