‘বিদেশিদের হাতে বন্দর দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:০৫, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
১২ দলীয় জোট
‘অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ও দ্রুততার সঙ্গে চট্টগ্রামসহ দেশের সব বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার’ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিবৃতিতে জোটের শীর্ষ নেতারা বলেন, ‘অস্বাভাবিক দ্রুততায় বিদেশি কোম্পানির কাছে কনটেইনার টার্মিনাল তুলে দেওয়া দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে ও এটি জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি।বাংলাদেশের বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ায় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। এটি ভবিষ্যতে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে’।
নেতারা বলেন, ‘বিদেশিদের হাতে টার্মিনাল পোর্ট ও বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার প্রশ্ন যুক্ত আছে।’
তারা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী বিষয়ে এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে না। বিগত স্বৈরাচারী সরকার দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে দেশকে একটি তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এহেন কর্মকাণ্ডই অতীতকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। দেশের জনগণ, জনমত ও জন-আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে যেকোনো কার্যক্রম জনরোষের মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর করবে’।
নেতারা বলেন, ‘গভীর পরিতাপের বিষয় যে বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারও বিগত স্বৈরাচারী সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে দেশবিরোধী চুক্তি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে’।
নেতারা অনতিবিলম্বে এই সরকারকে ‘দেশবিরোধী চুক্তি তথা বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত’ থেকে বিরত থাকার উদাত্ত আহ্বান জানান। অন্যথায় ১২ দলীয় জোট দেশের আপামর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশ বিক্রি চুক্তির বিরুদ্ধে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দলের (পিএনপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন ও নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এমএ মান্নান।
