১৮তম নিবন্ধিত শিক্ষকদের জন্য আসছে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও সুপারিশ না পাওয়া প্রার্থীদের জন্য বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে বুধবার (১৯ নভেম্বর) থেকে দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শূন্যপদের অনলাইন চাহিদা গ্রহণ শুরু হয়েছে, যা চলবে আগামী ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত।

এনটিআরসিএ জানায়, শুধু এমপিওভুক্ত শূন্যপদই বিবেচনায় নেওয়া হবে, এবং এই চাহিদা দাখিল ছাড়া আগের কোনো আবেদন বা চাহিদা বৈধ থাকবে না। অর্থাৎ, নতুন গণবিজ্ঞপ্তির জন্য প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের পুনরায় চাহিদাপত্র জমা দিতে হবে।

শূন্যপদ চাহিদার নতুন নির্দেশিকা
প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের উদ্দেশে প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে—
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত যেসব পদ শূন্য হয়েছে, শুধুমাত্র সেসব পদের জন্য চাহিদা পাঠানো যাবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের 'জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১' এবং
কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের 'জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)' এর প্যাটার্নভুক্ত পদগুলো চাহিদার আওতায় থাকবে।

এছাড়া, শূন্যপদের অনলাইন চাহিদা জমা দেওয়ার পর তিন দিনের মধ্যে ই-রিকুজিশন ফি পরিশোধ বাধ্যতামূলক।

এনটিআরসিএ স্পষ্ট করেছে, অফলাইন, হার্ডকপি বা ই-মেইল—কোনোভাবেই চাহিদা গ্রহণযোগ্য হবে না।
আগে দেওয়া কোনো অনলাইন চাহিদাও বাতিল বলে গণ্য হবে।
প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা নিজস্ব ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে
http://ngi.teletalk.com.bd
অথবা এনটিআরসিএর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
www.ntrca.gov.bd - এর ‘ই-রিকুজিশন’ সেবা থেকে লগইন করে ফরম পূরণ করতে পারবেন।

কেন এই বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি গুরুত্বপূর্ণ?

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ বিপুল সংখ্যক প্রার্থী এখনও সুপারিশ পাননি। নতুন এই বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি তাদের জন্য চাকরির বড় সুযোগ তৈরি করতে পারে। এনটিআরসিএর শূন্যপদ সংগ্রহ প্রক্রিয়া হাতে নেওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, শিগগিরই বিশেষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।