৩০ নভেম্বর থেকে ৭ বিভাগে ৮ দলের সমাবেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০০:২৩, ২০ নভেম্বর ২০২৫
জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আট দলীয় জোটের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহিত
পাঁচ দফা দাবিতে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা বিভাগ বাদে দেশের অন্য সাত বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আট দলীয় জোট।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আট দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক শেষে যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। জোটের পক্ষ থেকে কর্মসূচি পড়েন খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ।
কবে কোন বিভাগে সমাবেশ:
৩০ নভেম্বর – রংপুর
১ ডিসেম্বর – রাজশাহী
২ ডিসেম্বর – খুলনা
৩ ডিসেম্বর – বরিশাল
৪ ডিসেম্বর – ময়মনসিংহ
৫ ডিসেম্বর – সিলেট
৬ ডিসেম্বর – চট্টগ্রাম
সংবাদ সম্মেলনে ইউসুফ আশরাফ আরও জানান, প্রতিটি সমাবেশ সফল করতে আট দলের বিভাগীয় লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হবে, যারা সমাবেশ বাস্তবায়ন এবং পরবর্তী আন্দোলন পরিচালনায় ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে তারা যুগপৎ আন্দোলন করছেন। সরকার আদেশের মাধ্যমে সনদটির আইনি ভিত্তি দিলেও তাদের দাবি ছিল— গণভোট নির্বাচনের আগে পূর্ণাঙ্গ আইনি ভিত্তি দেওয়া। কিন্তু সরকার জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইউসুফ আশরাফ আরও বলেন, ফ্যাসিবাদীদের বিচারের দাবিও ছিল তাদের পাঁচ দফায়। ইতিমধ্যে ‘ফ্যাসিস্টদের প্রধান’ হিসেবে পরিচিত ‘লেডি ফেরাউন’-এর মৃত্যুদণ্ডের রায় জারি হওয়াকে তারা ন্যায়বিচারসম্মত ও ইনসাফভিত্তিক বলে মনে করেন।
জোটের আরেক দাবি ছিল সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি বাস্তবায়ন। তিনি জানান, উচ্চ কক্ষে পিআর ব্যবস্থা জুলাই সনদে যুক্ত হয়েছে এবং আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে প্রয়োগও হয়েছে। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জিতলে এটি পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর হবে।
আট দলের দাবির ব্যাপারে বলাহয়-
সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে ন্যূনতম ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করা জরুরি। সাম্প্রতিক সহিংসতার উদাহরণ হিসেবে তিনি পল্লবীতে বিএনপি কর্মী হত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং জেলা প্রশাসন থেকে থানাস্তর পর্যন্ত নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে।
জোটের পঞ্চম দাবি ছিল— জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিবাদের সহযোগী দলগুলোকে নিষিদ্ধ করা। তবে এ দাবির কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে তারা জানান।
‘হ্যাঁ’-এর পক্ষে প্রচার কি নতুন সংযোজন?- সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘হ্যাঁ’ প্রচার নতুন কিছু নয়। পাঁচ দফার শুরুতেই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছিল তাদের প্রথম দাবি। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ না হলে সে দাবি পূরণ হবে না।
প্রেস ব্রিফিং পরিচালনা করেন খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমাদ। অন্যান্য নেতাদের মধ্যে খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাগপা, নেজামে ইসলাম পার্টি, খেলাফত আন্দোলন ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
