বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাবর্তন সহজ করতে পূর্ণাঙ্গ সংস্কার সুপারিশ চূড়ান্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০০:১২, ২০ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। ছবি: সংগৃহীত
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মুনাফা বা বিনিয়োগ প্রত্যাবর্তন (রিপ্যাট্রিয়েশন) প্রক্রিয়া সহজ করতে দেশের বেসরকারি ও সরকারি লিমিটেডে বিক্রয়লব্ধ অর্থের প্রত্যাবাসন বিষয়ক জাতীয় কমিটি একটি পূর্ণাঙ্গ সংস্কার সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে। দেশের বিদ্যমান কাঠামোকে আরও আধুনিক, গতিশীল ও বিনিয়োগবান্ধব করার উদ্দেশ্যে এ সুপারিশ তৈরি করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
কমিটিতে বিডা, বাংলাদেশ ব্যাংক, ইউএনডিপি এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। তারা কয়েক মাস ধরে কারিগরি বৈঠক ও বিশেষজ্ঞ পরামর্শের ভিত্তিতে সুপারিশ চূড়ান্ত করেছেন।
সুপারিশগুলোর মূল বিষয়বস্তু:
- রিপ্যাট্রিয়েশন অনুমোদনসীমা বৃদ্ধি: অধিকাংশ কেস বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে পূর্বানুমোদন ছাড়াই প্রক্রিয়া করা যাবে।
- পরিষেবা স্তর চুক্তি: সময়সীমাবদ্ধ প্রত্যাবর্তন সেবা নিশ্চিত করা হবে।
- নথি সরলীকরণ ও আন্তর্জাতিক মানের মূল্যায়ন নির্দেশিকা: প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির জন্য নির্দেশিকা হালনাগাদ।
- জটিল কেস দ্রুত নিষ্পত্তি: ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য প্রত্যাবাসন পর্যালোচনা কমিটি গঠন।
- স্টার্টআপ ও দ্রুত সম্প্রসারণশীল ব্যবসার জন্য পৃথক নীতিমালা ও মূল্যায়ন কাঠামো: ২০২৬ সালের প্রথম তিন মাসের মধ্যে কার্যকর হবে।
- ন্যাশনাল ভ্যালুয়েশন সার্টিফিকেশন অথরিটি: মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স ও সার্টিফিকেশন প্রদান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও জনবল বৃদ্ধি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, “সুপারিশের মাধ্যমে আধুনিক ও বিনিয়োগবান্ধব আর্থিক পরিবেশ গড়ার অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে। আমরা বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশকে আরও নির্ভরযোগ্য গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির দিকে এগোচ্ছি।”
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, “এটি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ। জাতীয় কমিটি স্বল্প সময়ে পূর্ণাঙ্গ সংস্কার প্যাকেজ উপস্থাপন করেছে, যা বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করবে।”
