বিয়ে গোপন করায় তরুণী ও কাজীর কারাদণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:১৩, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট। ছবি: সংগৃহীত
পূর্বের বিয়ে গোপন করে নিকাহনামায় নিজেকে ‘অবিবাহিত’ হিসেবে উল্লেখ করার অভিযোগে নুসরাত জাহান তাসনিম (২৬) নামের এক তরুণীকে ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কাজী আবু মুসা আহম্মদকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন। বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. নাজমুল ইসলাম তালুকদার।
রায়ে বলা হয়, আসামি নুসরাতের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪৯৫ ধারায় ‘মিথ্যা বিবাহসংক্রান্ত তথ্য প্রদান’-এর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তবে দণ্ডবিধি ৪০৬ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনি ওই ধারায় খালাস পান।
অপরদিকে কাজী আবু মুসার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪২০ ধারায় প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তিনি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি তার নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স বাতিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার আরেক আসামি মো. আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে সম্পূর্ণ খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, রংপুরের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ হাসান ২০২০ সালে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর এক লাখ টাকা দেনমোহরে নুসরাতকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় নুসরাতকে ‘কুমারি ও অবিবাহিত’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।
পরে ২০১৮ সালে নুসরাত তার ভাইকে সিঙ্গাপুর পাঠানোর কথা বলে তিন লাখ টাকা দাবি করেন। জাহিদ এই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে নুসরাত সংসার করতে অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তী সময়ে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ সালিশি বৈঠকে উপস্থিত হলে জাহিদ জানতে পারেন নুসরাতের পূর্ববর্তী বিয়ের কথা গোপন রেখে তাকে দ্বিতীয় বিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ জাহিদ প্রতারণা ও তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করেন—যার ভিত্তিতে আজকের এই রায় ঘোষণা করা হলো।
