বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

| ৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

রোজ গার্ডেন কেনায় ‘৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি: অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০:৫৯, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

রোজ গার্ডেন কেনায় ‘৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি: অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেন ভবন। ছবি: সংগৃহীত

ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেন ভবন ক্রয় করতে গিয়ে রাষ্ট্রের ৩৩২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে—এমন অভিযোগের পর ঘটনাটির প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৮ সালে ব্যক্তি মালিকানাধীন পুরাকীর্তিটি কিনেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম। তিনি বলেন, অভিযোগের বিষয়ে দুদক অভিযান চালিয়ে নথি সংগ্রহ করেছে। অভিযোগের সত্যতা মিললে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, “গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে রোজ গার্ডেন কেনার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ৩৩২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে—এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই তথ্য যাচাই–বাছাই করতেই অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে।”

এর আগে ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি রোজ গার্ডেন অধিগ্রহণের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়। পরে সরকার ভবনটি ৩৩১ কোটি ৭০ লাখ ২ হাজার ৯০০ টাকায় কিনে নেয়।

দুদকের অভিযোগ, মূল্য নির্ধারণ, মূল্যায়ন প্রতিবেদন এবং ক্রয় প্রক্রিয়ায় অনিয়মের কারণে রাষ্ট্রের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, যা তদন্তে উঠে এসেছে।

দুদক বলছে, সংগৃহীত তথ্য, মূল্যায়ন প্রতিবেদন ও সরকারি নথিপত্র বিশ্লেষণ করে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে। অনিয়মের প্রমাণ মিললে রোজ গার্ডেন ক্রয়ে জড়িত সরকারি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

উল্লেখখ্য, পুরান ঢাকার টিকাটুলিতে ব্রিটিশ শাসনামলে ব্যবসায়ী ঋষিকেশ দাস ১৯৩১ সালে ভবনটি নির্মাণ করেন। বিরল প্রজাতির গোলাপ ও বাগানের জন্য নাম হয় রোজ গার্ডেন।

এ ভবনেই ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন অনুষ্ঠিত সম্মেলনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ (বর্তমান আওয়ামী লীগ) প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে এই দলই দেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়।

১৯৩৬ সালে ঋষিকেশ দেউলিয়া হয়ে পড়লে বাড়িটি বিক্রি হয়। কিনে নেন বই ব্যবসায়ী কাজী আবদুর রশিদ্ পরে প্রভিন্সিয়াল লাইব্রেরি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

১৯৬৬ সালে ভবনটির মালিকানা যায় কাজী হুমায়ূনের হাতে। 

১৯৭০ সালে ভাড়া দেওয়া হয় মোশন পিকচার্স লিমিটেডকে; নাম হয় ‘বেঙ্গল স্টুডিও’। 

১৯৯৩ সালে স্টুডিও চলে গেলে ভবনটি ফেরে কাজী পরিবারের কাছে। মালিকানায় ছিলেন কাজী রকিব ও পরবর্তীতে তার পরিবার।

১৯৮৯ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর রোজ গার্ডেনকে সংরক্ষিত ভবন ঘোষণা করলেও পরবর্তীতে মালিকানা আবার ব্যক্তিগত হাতে ফিরে যায়।

সরকার ভবনটির রেজিস্ট্রেশনকৃত মালিক লায়লা রকিব ও তার সন্তানদের কাছ থেকে এটি কেনে।

সম্পর্কিত বিষয়:

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ:

জে-লো–বেন অ্যাফ্লেককে নিয়ে ‘বেনিফার ৩.০’
১২০০ কোটি টাকার সাম্রাজ্যের পর ২ নতুন বাড়ি কিনলেন সাইফ
গণভোট আয়োজনের আগে প্রয়োজন আইন: সিইসি
শূকরের পর এবার সাংবাদিকদের বিপজ্জনক বললেন ট্রাম্প
ভারত সফরে ট্রাম্প জুনিয়র আসছেন
শ্রম আইন সংশোধনকে স্বাগত জানালো ইইউ
দিল্লি বিস্ফোরণকে ঘিরে কাশ্মীরিদের প্রতি অবিশ্বাস
ম্যানেজার নিয়োগ দেবে সিটি ব্যাংক
নিউইয়র্কে পা রাখলেই গ্রেপ্তার নেতানিয়াহু: মামদানি
অ্যাভেঞ্জার্স দলে স্যাডি সিঙ্ক!
গাজীপুরে আগুন, পুড়লো কলোনির ৮০ কক্ষ
পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা যুবক আটক
নতুন নাটক ‘যোজনগন্ধা মায়া’উদ্বোধনী শো ২৭ নভেম্বর
রোজ গার্ডেন কেনায় ‘৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি: অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
অবৈধভাবে ও অবৈধ ফোন আনা বন্ধ করা হবে: ফয়েজ তৈয়বের কঠোর বার্তা
জোবাইরুল আরিফের নেতৃত্বে চান্দগাঁও-বোয়ালখালীতে পথযাত্রা
একমঞ্চে মনোনয়ন বঞ্চিত ৭ প্রার্থী, দেখালেন রিভিউ চিহ্ন
বিয়ে গোপন করায় তরুণী ও কাজীর কারাদণ্ড
ইন্ডাস্ট্রিতে আমার কমফোর্ট জোন আবীর— জয়ার অকপট স্বীকারোক্তি
আসুন সবাই মিলে মিশে কাজ করি: জয়নুল আবদিন