প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে আসতে পারে গণভোটের খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩:৫৯, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আজ (বৃহস্পতিবার) আড়াইটায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন / ফাইল ছবি
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আজ (বৃহস্পতিবার) আড়াইটায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষিত এই ভাষণটি একযোগে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), বিটিভি নিউজ ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে ভাষণের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আর অন্য কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
তবে ধারণা করা হচ্ছে চলমান আগুন সন্ত্রাস, আইন-শৃংখলা পরিস্থিতিতে সরকার প্রধান দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেবেন।
আবার বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল মনে করছে ভাষনে সরকার প্রধান গণভোট ও নির্বাচন বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানাবেন। আগামীকালের ভাষণকে সরকার ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা পুনর্গঠনে প্রধান উপদেষ্টার এই ভাষণ হতে পারে সরকারের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনার রূপরেখা।
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস দেশের ইতিহাসে প্রথমবার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২৪ সালের ২৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশে প্রথম ভাষণ দিয়েছিলেন।
সে সময় তিনি গণআন্দোলনের পরবর্তী বাস্তবতায় দেশের পুনর্গঠন, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা, দুর্নীতি দমন এবং শিক্ষা-অর্থনীতির সংস্কার নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
প্রথম ভাষণে তিনি বলেছিলেন—“আজ আমি আপনাদের সামনে দাঁড়িয়েছি তাদের স্মরণে—যারা দেশের পরিবর্তনের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আমরা সবাই এক পরিবার, আমরা সবাই এই বাংলাদেশের সন্তান। এখন সময় এসেছে এমন এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার, যেখানে সমতা, গণতন্ত্র ও সততা প্রতিষ্ঠিত হবে।”
তিনি আরও ঘোষণা দেন প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার উদ্যোগ, তথ্যের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ ও যুব সমাজের নেতৃত্বে নতুন অর্থনৈতিক দিগন্ত উন্মোচনের প্রতিশ্রুতি।
এরপর ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দ্বিতীয়বারের মতো এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি ‘জাতীয় পুনর্গঠন কমিশন’ গঠনের পরিকল্পনা তুলে ধরেন এবং দেশজুড়ে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা, আইনের শাসন ও সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষার আহ্বান জানান।
ভাষণটি দুপুরে একযোগে সম্প্রচার করবে বিটিভি, বিটিভি নিউজ এবং বিটিভি ওয়ার্ল্ড। ভাষণ শেষে সরকারিভাবে ট্রান্সক্রিপ্ট ও ভিডিও রেকর্ডিং জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানা গেছে।
