কেন কলা খাবেন ?
জীবনযাপন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭:১২, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
বাংলায় বহুদিনের ভুল ধারণা—কলা নাকি শুধু ওজন বাড়ায়! কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, কলা বাংলাদেশের সবচেয়ে সহজলভ্য হলেও সবচেয়ে উপকারী সুপারফুডগুলোর একটি। এতে থাকা প্রাকৃতিক কার্বোহাইড্রেট তৎক্ষণাৎ শক্তি জোগায়, ফাইবার হজমশক্তিকে উন্নত করে এবং পটাশিয়াম হৃদযন্ত্র থেকে রক্তচাপ—সবকিছুই নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে শুধু ওজন বাড়ানোর ফল নয়, বরং বহু স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কলা এক অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য।
ওয়ার্কআউটের আগে বা পরে একটি কলা শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং পেশির পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। এতে থাকা প্রাকৃতিক চিনি শরীরে গ্লুকোজ বৃদ্ধি করে, যা সক্রিয় জীবনের জন্য কার্যকর।
হজমশক্তি ভালো রাখে
কলায় রয়েছে সলিউবল ও ইনসোলিউবল ফাইবার, যা হজম প্রক্রিয়াকে মজবুত করে। কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস বা বদহজমের সমস্যা কমাতে কলা অত্যন্ত কার্যকর। বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিয়মিত কলা খেলে অন্ত্রের কার্যকারিতা স্বাভাবিক থাকে।
হৃদযন্ত্র ও কিডনি রক্ষায় কার্যকর
কলায় থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে এবং কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে। যারা দৈনিক পটাশিয়াম কম পান, তাদের জন্য কলা আদর্শ উৎস।
ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক
অনেকে মনে করেন কলা ওজন বাড়ায়, কিন্তু বাস্তবে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।এতে ক্যালরি কম,ফাইবার বেশি, পেট ভরা রাখে।ফলে অপ্রয়োজনীয় খাবারের প্রবণতা কমে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
মানসিক চাপ কমায়, মুড ভালো রাখে
কলায় থাকা ট্রিপটোফ্যান সেরোটোনিন তৈরি করে, যা মানসিক চাপ কমায় এবং মুড ভালো রাখে। তাই স্ট্রেস বা টেনশনে ভুগলে রোজ একটুখানি কলা উপকারী হতে পারে।
হাড়, ত্বক ও রোগ প্রতিরোধশক্তিতে উপকারী
ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম হাড় ও পেশিকে মজবুত করে, আর ভিটামিন সি ত্বককে উজ্জ্বল রাখে। ভিটামিন বি৬ মস্তিষ্কের উন্নতি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
গর্ভাবস্থায় বিশেষ উপকার
গর্ভবতী মায়েদের জন্য কলায় রয়েছে—ফোলেটভিটামিন বি৬
যা ভ্রূণের বৃদ্ধি ও সকালের বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে।
কখন, কতটা খাবেন?
পুষ্টিবিদদের মতে—সকালে খাবার সময়, কিংবা ব্যায়ামের আগে–পরে কলা খাওয়া সবচেয়ে উপকারী।
তবে দিনে ১–২টির বেশি খাওয়া ঠিক নয়।
