নীরবে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে কোলন ক্যানসার—কখন সতর্ক হবেন?
জীবনযাপন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫:২২, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে কোলন ক্যানসার—বিশেষত তরুণদের মধ্যে এই রোগের হার দ্রুত বাড়ছে। বিশ্বজুড়ে ক্যানসারে মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হওয়া কোলন ক্যানসারের সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হলো, রোগের শুরুতে এটি প্রায় নীরব থাকে।
অর্শের মতো একই ধরনের লক্ষণ দেখা দেওয়ায় অধিকাংশ মানুষ ভুল করেন—এবং সেই অবহেলার মধ্যেই ক্যানসার শরীরে অজান্তে ছড়িয়ে পড়ে। চিকিৎসকদের মতে, সময় থাকতেই সঠিক লক্ষণ শনাক্ত করতে পারলে অনেক মৃত্যুই ঠেকানো সম্ভব।
নিচে কোলন ক্যানসারের যেসব লক্ষণকে অর্শ বা সাধারণ পেটের সমস্যা ভেবে অনেকে গাফিলতি করেন, সেগুলোর দিকেই সতর্ক দৃষ্টি রাখা জরুরি—
১. মলত্যাগের অভ্যাসে হঠাৎ পরিবর্তন
হঠাৎ করে ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য বা মল খুব সরু হয়ে যাওয়া কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে থাকলে সেটি কোলনে টিউমারের সংকেত হতে পারে। অনেক রোগীই মনে করেন মল সম্পূর্ণ বের হচ্ছে না। কয়েক সপ্তাহ টানা একই সমস্যা থাকলে চিকিৎসক দেখানো বাধ্যতামূলক।
২. মলে রক্ত
গাঢ় লাল বা লালচে রক্ত মলের সঙ্গে এলে অনেকেই অর্শ ধরে নেন। কিন্তু পরিপাকতন্ত্রে রক্তপাতের অন্যতম বড় কারণ কোলন ক্যানসার। বারবার রক্ত দেখা গেলে তা কখনোই স্বাভাবিক নয়।
৩. পেটে ব্যথা, খিঁচুনি বা ফোলাভাব
কোলনে থাকা টিউমার পেটের স্বাভাবিক গতিপথে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে খিঁচুনি, চাপ ধরা ব্যথা বা অস্বস্তি দীর্ঘদিন থাকে। কেউ কেউ ভুল করে I সাধারণ গ্যাস্ট্রিক ভাবেন। কিন্তু ব্যথার মাত্রা বাড়তে থাকলে অবহেলা নয়—চিকিৎসার সময় তখনই।
৪. আচমকা ওজন কমে যাওয়া
খাদ্যাভ্যাস বা ব্যায়ামে কোনও পরিবর্তন না থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ ওজন কমে গেলে তা খুবই উদ্বেগজনক। ক্যানসারের কোষ শরীরের বিপাক প্রক্রিয়া বদলে দেয়, ফলে অনিচ্ছাকৃত ওজন কমে যেতে পারে।
৫. অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা
পর্যাপ্ত ঘুম, বিশ্রাম—কিছুই কাজ না করলে এবং শরীর অযথা ক্লান্ত থাকলে কোলনে টিউমারের কারণে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত বা রক্তশূন্যতা থাকতে পারে। এটি কোলন ক্যানসারের অন্যতম ‘নীরব’ সতর্কবার্তা।
