রূপচর্চায় নতুন ট্রেন্ড গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ত্বক বুঝে ব্যবহার করবেন
জীবনযাপন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭:৪৩, ৩১ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৭:৪৪, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
 
						
									ত্বকচর্চার জগতে দিন দিন নতুন উপাদানের সংযোজন ঘটছে। এক সময় শুধুমাত্র ফেসওয়াশ, টোনার বা ময়েশ্চারাইজারেই সীমাবদ্ধ ছিল সৌন্দর্যচর্চা; এখন সেই জায়গা দখল করছে বিভিন্ন প্রকার অ্যাসিড। তাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড -একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা আখের রস থেকে তৈরি হয় এবং ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল ও কোমল।
গ্লাইকোলিক অ্যাসিড কীভাবে কাজ করে
গ্লাইকোলিক অ্যাসিড হলো এক ধরনের আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড । এর ক্ষুদ্র অণুগুলো ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে মৃত কোষের বন্ধন ভেঙে দেয়। ফলে ত্বকের ওপর জমে থাকা কোষ সহজেই উঠে যায়, নতুন কোষের জন্ম হয়, মুখের দাগ-ছোপ ও রেখা ধীরে ধীরে ম্লান হয়। নিয়মিত ব্যবহারে মুখের রঙের তারতম্য কমে আসে এবং ত্বক পায় প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।
কীভাবে মাখবেন গ্লাইকোলিক অ্যাসিড
প্রথমে সপ্তাহে এক বা দুই দিন ব্যবহার শুরু করুন।
ত্বক সহ্য করতে পারলে ধীরে ধীরে ব্যবহারের হার বাড়াতে পারেন।
অতিরিক্ত ব্যবহার ত্বক শুষ্ক বা সংবেদনশীল করে তুলতে পারে, তাই সতর্ক থাকুন।
ত্বকের ধরন অনুযায়ী ব্যবহারবিধি
সংবেদনশীল ত্বক: সরাসরি মুখে না মেখে গ্লাইকোলিক অ্যাসিডযুক্ত ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে এই অ্যাসিডের বদলে হালকা ময়েশ্চারাইজিং উপাদান ব্যবহার করাই ভালো।
ব্রণপ্রবণ বা সাধারণ ত্বক: যদি জ্বালা বা র্যাশ না হয়, তবে কেমিক্যাল পিল বা গ্লাইকোলিক অ্যাসিড প্যাড ব্যবহার করতে পারেন। প্রয়োজনে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া নিরাপদ।
অনেকে একসঙ্গে গ্লাইকোলিক, ল্যাক্টিক ও স্যালিসিলিক অ্যাসিড ব্যবহার করেন—এতে একাধিক অ্যাসিডের উপকারিতা মেলে। ত্বক কোমল হয়, ছিদ্র মুক্ত থাকে এবং ব্রণ কমে।
সতর্কতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রথম দিকে হালকা লালচেভাব, টান বা শুষ্কতা দেখা দিতে পারে। এটি অস্থায়ী হলে চিন্তার কারণ নেই। তবে দীর্ঘস্থায়ী অস্বস্তি বা পোড়াভাব দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ব্যবহারের পর সূর্যের আলো থেকে বাঁচতে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি।
গ্লাইকোলিক অ্যাসিড এখন শুধু সৌন্দর্যচর্চার অংশ নয়, বরং আধুনিক ত্বকচর্চার এক অপরিহার্য উপাদান। তবে মনে রাখতে হবে—প্রতিটি ত্বক আলাদা। তাই অন্ধভাবে ট্রেন্ড অনুসরণ না করে, ত্বকের ধরন ও প্রয়োজন বুঝে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ব্যবহার করলেই পাওয়া যাবে কাঙ্ক্ষিত উজ্জ্বলতা ও সতেজতা।

 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													 
													