চীনের মহাপ্রাচীরে পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের প্রথম ফ্যাশন শো
জীবনযাপন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩:৫২, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
চীনের মহাপ্রাচীর পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি। যা প্রাচীন স্থাপত্য ও ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন। প্রাচীরের ব্যাডালিং অংশে অনুষ্ঠিত হলো চীন ও পাকিস্তানের প্রথম যৌথ ফ্যাশন শো। এই শো'র আয়োজক পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতাবাস, বেইজিং ও চায়না ইন্টারন্যাশনাল কালচারাল কমিউনিকেশন সেন্টার।
পাকিস্তানী ডিজাইনার মাহিন খান, মোআজ্জম আব্বাসি, আইশা তারিক, রিজওয়ানুল্লাহ ও জাইন হাশমি পাকিস্তানি ও চীনা সাংস্কৃতিক উপাদানের মিশেলে প্রস্তুত কালেকশনের উপস্থাপন করা হয় শো তে। ফুলের নকশা ও আর্জাক ডিজাইন বিশিষ্ট পোশাকে র্যাম্পে হাঁটেন মডেলরা।
চীনের পক্ষে অংশ নেন ডিজাইনার লিয়াং স্যুইউন এবং চীনে অবস্থানরত পাকিস্তানী ব্যবসায়ী আকীল চৌধুরী।
শো-তে উপস্থিত ছিলেন চীনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, কূটনীতিক, ব্যবসায়ী ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। পাকিস্তানের চীনে রাষ্ট্রদূত খালিল হাশমি জানান, "এই অনুষ্ঠান ঐতিহাসিক সিল্ক রোডের জীবন্ত চেতনার উদযাপন। আয়োজনটি কাপড়, শিল্প ও বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে।"

তিনি আরও জানান, "এ বছর পাকিস্তানী রাষ্ট্রপতি আয়ুব খানের মহান প্রাচীরে প্রথম সফরের ৬০তম বার্ষিকীও পূর্ণ হয়েছে। যা আয়োজনকে দিয়েছে বিশেষ মর্যাদা।"
রাষ্ট্রদূত আরও যোগ করেন, "ফ্যাশন শোটি শুধু সাংস্কৃতিক নয়, এটি পাকিস্তানী সৃজনশীলতা ও চীনা বাজারের সঙ্গে সংযোগের প্রমাণ। শোটি দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।"
চায়না ইন্টারন্যাশনাল কালচারাল কমিউনিকেশন সেন্টারের চেয়ারম্যান লং ইউক্সিয়াং জানান, "এই ফ্যাশন শো কেবল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয় এটি চীন ও পাকিস্তানের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত সহযোগিতার প্রতিফলন। ফ্যাশনের মাধ্যমে মানুষের জীবন মান উন্নয়নের সাধারণ আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরা হয়েছে। আমরা পাকিস্তানী ফ্যাশন শিল্পের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব গড়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"

শোটি পাকিস্তানি ও চীনা সংস্কৃতির মিলনমেলা হয়ে উঠেছে। সেখানে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সৃজনশীল সংমিশ্রণ দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।
