শেয়ারবাজারে কারসাজি
সাকিবসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন পেছাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:১৯, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২০:০০, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে করা শেয়ারবাজারে কারসাজি, প্রতারণা ও মানিলন্ডারিং মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবারও পেছাল। নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৬ নভেম্বর। ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) এ দিন ঠিক করেন।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত কর্মকর্তা নির্ধারিত দিনে প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আবেদনের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সাকিব ছাড়াও মামলার অপর আসামিরা হলেন—আবুল খায়ের (উপ-নিবন্ধক, সমবায় অধিদপ্তর),তার স্ত্রী কাজি সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজি ফুয়াদ হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, জাহেদ কামাল, হুমায়ূন কবির, তানভীর নিজাম|
১৭ মে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
অভিযোগপত্র অনুযায়ী, আসামিরা নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিও অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে সিরিজ ট্রানজেকশন, প্রতারণামূলক অ্যাকটিভ ট্রেডিং, গেম্বলিং ও স্পেকুলেশনের মাধ্যমে বাজারে কারসাজি করে নির্দিষ্ট কিছু শেয়ারের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়ান। এর ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হারান। এই প্রক্রিয়ায় ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৩০৪ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
আসামি আবুল খায়ের (হিরু) তার স্ত্রী কাজি সাদিয়া হাসানের সহায়তায় ২৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার ১৮৫ টাকা গোপনে বিভিন্ন খাতে স্থানান্তর করেন। তার নামে পরিচালিত ১৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৫৪২ কোটি ৩১ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ
অভিযোগে বলা হয়েছে, আবুল খায়ের কর্তৃক কারসাজিকৃত প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এবং সোনালী পেপারস লিমিটেডের শেয়ারে বিনিয়োগ করেন সাকিব আল হাসান।
এর মাধ্যমে তিনি বাজারে কৃত্রিমভাবে শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধিতে সহায়তা করেন এবং ২ কোটি ৯৫ লাখ ২ হাজার ৯১৫ টাকা “রিয়ালাইজড ক্যাপিটাল গেইন” নামে শেয়ারবাজার থেকে আত্মসাৎ করেন।