মান্নাতের সামনে ভক্তদের উন্মাদনা শাহরুখের জন্মদিনে
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯:০০, ২ নভেম্বর ২০২৫
মান্নাতের ব্যালকনিতে শাহরুখ খান। ছবি: ফেসবুক
প্রতি বছরের মতো এবারও শাহরুখ খানের জন্মদিনে মুম্বাই পরিণত হলো ‘মান্নাতল্যান্ড’-এ। কিং খান আজ ৬০ বছরে পা রাখলেন, আর সেই উপলক্ষে বিশ্বজুড়ে তার ভক্তরা একত্রিত হলেন তার স্বপ্নের ঠিকানা মান্নাতের সামনে—জন্মদিনকে পরিণত করলেন এক মহা-উৎসবে। শাহরুখের অফিসিয়াল ফেসবুকে দেখা যায় ভক্তদের উপস্থিতির এসব ছবি।
রবিবার ভোর থেকেই মুম্বাইয়ের খার এলাকায় “থ্রি ওয়াইজ মাংকিজ”-এ ভক্তদের ভিড় জমে যায়। কেউ এসেছেন গুজরাট, দিল্লি, কলকাতা থেকে, কেউবা আরও দূর দেশ—ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি ও ফ্রান্স থেকেও। উদ্দেশ্য একটাই—প্রিয় নায়কের জন্মদিন একসঙ্গে উদ্যাপন করা।

স্থাপনাটি যেন রূপ নিয়েছিল এক ক্ষুদ্র ‘এসআরকে কার্নিভালে’। চারপাশে উড়ছে উই লাভ শাহরুখ লেখা বেলুন ও ব্যানার, দেয়ালে পোস্টকার্ডে শুভেচ্ছা—হ্যাপি শাহরেুখ ডে তা বাজছে কিং খানের চিরচেনা গান—‘তুঝে দেখা তো...’ থেকে শুরু করে ‘ঝুমে জো পাঠান’ পর্যন্ত। মেনুতেও ছিল সিনেমার ছোঁয়া—‘রব নে বানাই হোই জোড়ি বুন মস্কা আউর চা’, ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস মিনি ইডলি’, ‘রঈসওয়ালা ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস ট্রাফল মার্কে’।
ভক্তদের উচ্ছ্বাস ছিল আকাশ ছোঁয়া। কেউ নাচলেন শাহরুখের গানে, কেউবা পড়লেন তার সংলাপ। এক তরুণী ভক্ত বললেন,“ওনার প্রতিটি সিনেমা একেকটা অনুভূতি। আমরা তাঁর সঙ্গে বড় হয়েছি। ওনার মতো অভিনেতা নয়, পরিবারের একজন মনে হয়।”
আরেকজন এসেছিলেন ‘রাজ’ সেজে—‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে যায়েঙ্গে’র কিংবদন্তি চরিত্রে। তার ভাষায়,“শাহরুখ খানের মাঝে এমন কিছু আছে, যা সবাইকে একসূত্রে বেঁধে রাখে। মনে হয়, উনি আমাদের সবারই।”

উৎসবে ছিল হাসি, নস্টালজিয়া, আর এক টুকরো প্রতিযোগিতার ছোঁয়া। আয়োজিত হয়েছিল এক ‘এসআরকে কুইজ’, যেখানে প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই ভক্তরা
চিৎকার করে বলে ফেলছিলেন উত্তর—
আর সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে এল সেই মুহূর্ত, যা কেউ কল্পনাও করেনি—শাহরুখ খান তার নতুন ছবি “কিং”-এর লোগো ইউনিট প্রকাশ করলেন। সঙ্গে সঙ্গে স্থানজুড়ে বেজে উঠল করতালি, উল্লাস, আর এক সুরে ধ্বনি—ওয়ানস মোর, ওয়ানস মোর।
দুপুর গড়ালে ভক্তদের পরবর্তী গন্তব্য—মান্নাতের বাইরে, যেখানে এক ঝলক প্রিয় তারকাকে দেখার আশায় ভিড় জমতে থাকে ক্রমশ। তাদের কাছে ২ নভেম্বর শুধু একটি দিন নয়—এটা এক অনুভূতি, এক উৎসব, এক স্মারক, যা প্রমাণ করে—‘শাহরুখ খান একটাই, দ্বিতীয় কেউ নয়।’
