জকসু নির্বাচন
অমোচনীয় কালি না থাকলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: জবি ছাত্রদল
জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:৩০, ৩ নভেম্বর ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
এ ছাড়া এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার ও প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে ছাত্রদলকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগও তুলেছে সংগঠনটি।
রবিবার (২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
এসময় জবি শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, “নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা করতে হবে। কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছভাবে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির কথা ভুলিনি।”
জবি ছাত্রদল শাখার আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, “কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার বা প্রার্থী হওয়ার সুযোগ না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না—এই নিয়মের সুযোগ নিয়েই আমাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান। উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, সিন্ডিকেট সদস্য, জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশনারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
উল্লেখ্য, জবিতে দীর্ঘদিন পর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর আগে ২০১৯ সালে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও প্রশাসনিক জটিলতায় তা স্থগিত হয়। এ বছর নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর তৎপরতা বেড়েছে।
