দুই পক্ষের সঙ্গে ঐক্যমত : নির্বাচনের পরই বিশ্ব ইজতেমা

তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী জাতীয় নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

রবিবার (২ নভেম্বর) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

এসময় ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের আমেজ শুরু হয়েছে। এই সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভোটের দায়িত্বে ব্যস্ত থাকবে। তাই তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর নির্বাচনের পরপরই ইজতেমা আয়োজনের বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন।’

তিনি জানান, তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষই এই সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়েছেন।

নির্বাচন বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. খালিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের দিকেই যাচ্ছি। সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আপাতত নির্বাচন পেছানোর কোনো লক্ষণ বা পরিকল্পনা নেই।’

তিনি আরও জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের আলোচনা অব্যাহত আছে এবং বড় কোনো ভুল বোঝাবুঝি হয়নি।

এনিসিপির জুলাই সনদে সই না করা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দলটির সঙ্গে আলোচনা চলছে। এখন দরজা বন্ধ থাকলেও খুলতে বেশি সময় লাগবে না।’

এছাড়া ড. জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘জাকির নায়েককে যারা দেশে আনতে চান, তারা আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। তবে এই বিষয়টি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নয়, এটি পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে। বিদেশি অতিথি আনতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয় এই দুই মন্ত্রণালয়। আমার ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ এখানে কোনো প্রভাব রাখে না।’

উল্লেখ্য, প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত হয় মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা। তবে গত দুই বছর ধরে তাবলিগ জামাতের ভেতরকার দ্বন্দ্ব ও দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ইজতেমার আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।