সনদ বাস্তবায়নে আবারও আরপিওতে পরিবর্তন আসছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০, ২ নভেম্বর ২০২৫
সনদ বাস্তবায়নে আরপিওতে আবারও পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার।
গত শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেন। এই বৈঠকে সার্বিক রাজনৈতিক পরিবেশ, নির্বাচন প্রস্তুতি ও সংশ্লিষ্ট সংস্কারমূলক প্রস্তাব নিয়ে কথা হয়।
জানা যায়, জুলাইর ন্যায্য সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব কার্যকর করার বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং একবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তা থেকে সরে আসা হবে না।
একই সঙ্গে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধন) অধ্যাদেশ-এর খসড়ায় আবারও পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র মতে, সংশোধন প্রস্তাবে উল্লেখ রয়েছে—যদি দলীয় জোট গঠন করে নির্বাচন হয়, তাহলে প্রতিকসহ বাধ্য রয়েছে না বলেই এখন ধরা হচ্ছে।
অর্থাৎ, কোনো প্রার্থী চাইলে নিজ দলের প্রতীক অথবা জোটের অন্য কোনো দলের প্রতীক বেছে নিয়ে অংশ নিতে পারবেন।
এর আগে, গত ২৩ অক্টো-বরে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ওই অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করেছিলো যেখানে বলা হয়েছিলো—জোট গঠন হলেও দলীয় প্রতীকেই অংশ নিতে হবে। তবে এই ধারা নিয়ে বিএনপি ও অন্যান্য ছোট দলগুলো আপত্তি জানায়।
পরিস্থিতি বিবেচনায়, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় এই অধ্যাদেশে সর্বশেষ পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে পারে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-এর তফসিল ঘোষণা, যা হতে পারে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে।
এর আগে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত মঙ্গলবার জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছিলো। ওই সুপারিশ অনুযায়ী, সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো কার্যকর করার জন্য বিশেষ আদেশ জারি হবে এবং তার ভিত্তিতে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। গণভোট পাস হলেই আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংশোধনের কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। তবে গণভোট কখন অনুষ্ঠিত হবে— নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে না কি আগে— সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত সরকারের ওপর রাখা হয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলো সুপারিশ জমার পর থেকেই পরস্পরবিরোধী অবস্থানে রয়েছে। বিএনপি বলছে, সংবিধান অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সনদের সনদের আদেশ জারি করার এখতিয়ার নেই। এছাড়া তারা মনে করে, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন করা অপ্রয়োজনীয়, অযৌক্তিক ও বেসম্মানজনক।
তথ্য মতে, জামায়াতে ইসলামিসহ আটটি দল নভেম্বরে গণভোটসহ পাঁচ দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে।
