সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫

| ১৮ কার্তিক ১৪৩২

ইসিকে চিঠি

অন্য দলের প্রতীকে ভোটের বিপক্ষে এনসিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮:৪৬, ২ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০০:২৫, ৩ নভেম্বর ২০২৫

অন্য দলের প্রতীকে ভোটের বিপক্ষে এনসিপি

এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অন্য কোনও দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে না। তবে কোনও যৌথ জোট বা জোটনির্ভর প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নিতে হবে। 

রবিবার (২ নভেম্বর) আইন উপদেষ্টা কার্যালয়ে দেওয়া এনসিপির এক চিঠিতে তিনি এই মত দেন।

চিঠিতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন প্রসঙ্গে সরকারের অবস্থানও জানতে চেয়েছে এনসিপি। পরে দলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্মারকলিপির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

এনসিপির চিঠিতে বলা হয়—

প্রথমত, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনব্যবস্থার উদ্দেশ্যই হলো দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র, আর্থিক স্বচ্ছতা ও নীতিগত স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। কিন্তু যখন নিবন্ধিত দল অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করে, তখন তারা নিজেদের নিবন্ধনের দায়বদ্ধতা থেকে কার্যত অব্যাহতি পায়। এতে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার নিজস্ব অর্থই হারিয়ে যায়। একদিকে দলটি আলাদা পরিচয় দাবি করে, অন্যদিকে নির্বাচনে অন্য দলের প্রতীক ব্যবহার করে। এটি আইনি বৈপরীত্য সৃষ্টি করে এবং নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতাকে অকার্যকর করে তোলে।

দ্বিতীয়ত, গণতন্ত্রের মৌলিক নীতি হলো, রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি। যে দলের নামে জনগণ ভোট দেন, সেই দলই নির্বাচনের পর জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। কিন্তু যখন একাধিক নিবন্ধিত দল বড় দলের প্রতীকে নির্বাচন করে, তখন ভোটার জানেন না তিনি আসলে কাকে ভোট দিচ্ছেন। ভোটার যে রাজনৈতিক দর্শন, নীতি বা নেতৃত্বকে সমর্থন জানাতে চান, তা অস্পষ্ট হয়ে পড়ে। এতে ভোটার-দায়বদ্ধতার সম্পর্ক ভেঙে যায়।

তৃতীয়ত, এই বিধান কৃত্রিম বহুদলীয়তা সৃষ্টি করে এবং বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে কাঠামোগত সুবিধা দেয়। বড় দলগুলো নিজস্ব স্বার্থে ছোট ছোট ‘প্রক্সি দল’ তৈরি করে তাদের প্রতীকে নির্বাচন করায়। পরে এই ছোট দলগুলো সংসদে বা বিভিন্ন কমিটিতে কৃত্রিম ভিন্নমত নিয়ে হাজির হয়ে বাস্তবে সেই বড় দলেরই বক্তব্য পুনরাবৃত্তি করে। এতে গণপরিসরে মতের বৈচিত্র্য নষ্ট হয়, ‘জাতীয় ঐকমত্য’ গঠনের প্রক্রিয়া বিকৃত হয় এবং নির্বাচনের পরবর্তী নীতিনির্ধারণে আর্টিফিশিয়াল বহুমতের জন্ম হয়।

তাই নির্বাচন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ২০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে স্পষ্টভাবে বলা প্রয়োজন, যেকোনও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অন্য কোনও দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে না।

চিঠিতে এনসিপির সদস্য সচিব আরও উল্লেখ করেন, কোনও যৌথ জোট বা জোটনির্ভর প্রার্থী মনোনয়নের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশনের কাছে নিবন্ধন করতে হবে।

সম্পর্কিত বিষয়:

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ:

ফের পাবনা-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
নির্বাচন শেষে ফেব্রুয়ারিতেই একুশে বইমেলা
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়: হাসনাত আবদুল্লাহ
গ্ৰাম, শহর, অলিগলি জিতবে এবার শাপলা কলি : সারজিস
বিএনপির বিজয় ঠেকাতে অপপ্রচার-অপকৌশল দৃশ্যমান: তারেক রহমান
মানামা সংলাপে তুলসী গ্যাবার্ড অন্য দেশের সরকার বদলের নীতি থেকে সরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র
দেশে ভোটার বেড়ে হয়েছে ১২ কোটি ৭৬ লাখ
সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
অন্য দলের প্রতীকে ভোটের বিপক্ষে এনসিপি, জানাল চিঠিতে
‘শাপলা কলি’ নিতে রাজি এনসিপি
পুলিশ আটকে দিল এবতেদায়ী শিক্ষকদের ‘লং মার্চ টু যমুনা’ পদযাত্রা
মালিবাগে ঝিলের জায়গায় থানা ভবন নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ হাই কোর্টের
বিরাট কোহলির রেকর্ড ভাঙলেন বাবর আজম
ড. ইউনূসকেই জুলাই সনদ আদেশ জারি করতে হবে: নাহিদ ইসলাম
ড. ইউনূসকেই জুলাই সনদ আদেশ জারি করতে হবে: নাহিদ ইসলাম
দুই পক্ষের সঙ্গে ঐক্যমত: নির্বাচনের পরই বিশ্ব ইজতেমা
দেশীয় ফ‍্যাশনেবল হ্যান্ডব্যাগেই ভাইরাল প্রধানমন্ত্রী..!
আওয়ামী লীগ নেতা হত্যাকাণ্ডে ছেলে গ্রেফতার
সনদ বাস্তবায়নে আবারও আরপিওতে পরিবর্তন আসছে
গাইবান্ধায় চোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা