পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে প্রশাসকের দায়িত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:২৮, ৫ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৯:২৯, ৫ নভেম্বর ২০২৫
ছবি: সমাজকাল
দেশের পাঁচটি বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ পদক্ষেপের মাধ্যমে এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংকের বিদ্যমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) চুক্তি বাতিল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এই পাঁচ ব্যাংকে আর্থিক শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অনিয়ম প্রতিরোধ ও পরিচালন কাঠামো সংস্কারের জন্য অস্থায়ী প্রশাসন গঠন করা হয়েছে। প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।
প্রশাসক নিয়োগ তালিকা
এক্সিম ব্যাংক: নির্বাহী পরিচালক মো. শওকাতুল আলম
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক: নির্বাহী পরিচালক মো. সালাহ উদ্দিন
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক: নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ বদিউজ্জামান দিদার
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক: পরিচালক মো. মোকসুদুজ্জামান
ইউনিয়ন ব্যাংক: পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হাসেম
প্রতিটি প্রশাসক দলের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত ও যুগ্ম পরিচালক পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা যুক্ত হয়েছেন। তারা ব্যাংকের মানবসম্পদ, তথ্যপ্রযুক্তি, ফাইন্যান্স, অপারেশন ও অডিট বিভাগে সমন্বয় করবেন।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক
প্রশাসক সালাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে রয়েছেন ড. মোহাম্মদ বজলুল করিম, মো. রাশেদুল ইসলাম, রওশন আখতার, আবদুল আতী ও ফাইন্যান্স বিভাগের যুগ্ম পরিচালক দলের সদস্যরা।
ইউনিয়ন ব্যাংক
প্রশাসক আবুল হাসেমের সঙ্গে আছেন মো. আল-মেহেদী হাসান (ইন্টারনাল অডিট), কাজী আব্দুল মান্নান (টাকা মিউজিয়াম), মো. তারিকুল ইসলাম ও সাগর হোসেন ।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক
বদিউজ্জামান দিদারের সঙ্গে থাকবেন মোহাম্মদ আনসারুল কবির , মোহাম্মদ ফয়সাল খান (ইসলামিক ব্যাংকিং বিভাগ), মো. ওমর ফারুক এবং বিশ্বজিৎ কুমার দে (সাইবার সিকিউরিটি ইউনিট)।
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক
মোকসুদুজ্জামানের টিমে রয়েছেন মোহাম্মদ শাহজাহান , মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন (FEPD), মো. শরিফুল ইসলাম (PSD) ও মো. কাউসার পাঠান ।
এক্সিম ব্যাংক
শওকাতুল আলমের সঙ্গে থাকছেন শেখ আহমেদ জামি , মো. রইসুল ইসলাম , মো. আব্দুল আউয়াল চৌধুরী এবং মাসুমা বেগম ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন,‘ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় প্রশাসনিক এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসকরা দায়িত্ব পালন করবেন।’
