বকেয়া না মেটালে ১১ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ বন্ধের হুঁশিয়ারি আদানির
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:৩৭, ৪ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) / ফাইল ছবি
ভারতের আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের কাছে বকেয়া অর্থ পরিশোধের আল্টিমেটাম দিয়েছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, চলতি মাসের ১০ নভেম্বরের মধ্যে পাওনা না মেটালে ১১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেবে।
৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে আদানি পাওয়ারের ভাইস চেয়ারম্যান অবিনাশ অনুরাগ জানান, দীর্ঘদিন ধরে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও পিডিবি ৪৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বকেয়া পরিশোধ করেনি। এর মধ্যে ২৬২ মিলিয়ন ডলারকে পিডিবি নিজেই ‘বিরোধহীন পাওনা’ হিসেবে স্বীকার করেছে।
পিডিবি সূত্রে জানা যায়, আদানির দাবিকৃত অর্থের বড় অংশ নিয়ে আপত্তি রয়েছে। কয়লার মূল্য নির্ধারণে বিরোধ নিষ্পত্তি না হলে বকেয়া পরিশোধ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। তাদের দাবি, আদানির সঙ্গে চুক্তির কাঠামোতে জটিলতা থাকায় অন্যান্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের তুলনায় প্রতি টন কয়লায় ১০ থেকে ১২ ডলার বেশি খরচ পড়ছে।
এর আগে গত বছরও আদানি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুমকি দিয়েছিল এবং কয়েকদিন আংশিক সরবরাহ কমিয়েছিল।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর স্বাক্ষরিত পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্টের (পিপিএ) ১৩.২ ধারায় বকেয়া পরিশোধে ব্যর্থ হলে কোম্পানির সরবরাহ স্থগিতের অধিকার রয়েছে। আদানি জানায়, “১০ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া নিষ্পত্তি না হলে আমরা ১১ নভেম্বর থেকে সরবরাহ বন্ধ করতে বাধ্য হব।”
কোম্পানিটি আরও উল্লেখ করেছে, সরবরাহ বন্ধ থাকলেও চুক্তি অনুযায়ী তারা নির্ভরযোগ্য উৎপাদন সক্ষমতার ভিত্তিতে সক্ষমতা চার্জ (ক্যাপাসিটি পেমেন্ট) পাওয়ার অধিকার রাখবে।
অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পিডিবি বর্তমানে কাজ করছে সরকার গঠিত ‘বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি পর্যালোচনা জাতীয় কমিটি’র নির্দেশনা অনুযায়ী।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম নেতৃত্বাধীন কমিটি ২ নভেম্বর প্রকাশিত প্রাথমিক প্রতিবেদনে আদানি চুক্তির অনুমোদন প্রক্রিয়ায় প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও অসঙ্গতির কথা উল্লেখ করেছে। জানুয়ারিতে জমা দেওয়ার কথা রয়েছে কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনটির।
