জুলাই আন্দোলনের দুই স্থাপনা
রাজধানীতে ‘মুক্তি তোরণ’ ও ‘স্বাধীনতা তোরণ’ উদ্বোধন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩:৩৫, ৪ নভেম্বর ২০২৫
জুলাই আন্দোলনের স্মৃতি ও চেতনা ধারণ করে নির্মিত তোরণ ‘স্বাধীনতা তোরণ’। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীতে দুটি তোরণ উদ্বোধণ করা হয়েছে। জুলাই আন্দোলনের স্মৃতি ও চেতনা ধারণ করে নির্মিত তোরণ দুটির নাম ‘মুক্তি তোরণ’ ও ‘স্বাধীনতা তোরণ’। ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) তোরণ দুটি নির্মান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আগারগাঁও ও প্রগতি সরণিতে স্থাপিত তোরণ দুটি উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
তোরণ দুটির মধ্যে আগারগাঁওয়ের বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ সড়কে নির্মিত তোরণটির নাম ‘মুক্তি তোরণ’ ও প্রগতি সরণির বাড্ডা বৌদ্ধ মন্দিরের সামনে নির্মিত তোরণটির নাম ‘স্বাধীনতা তোরণ’।
‘মুক্তি তোরণ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “এই তোরণগুলো আমাদের ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামের স্মৃতি মনে করিয়ে দেবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। সেই আন্দোলনের স্মৃতি ধরে রাখতে এবং শহরের নান্দনিকতা বাড়াতে এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “যেভাবে আমরা দেশ থেকে জুলুমকারীদের উৎখাত করেছি, ঠিক সেভাবেই শহর থেকেও অন্যায়, বিশৃঙ্খলা ও অপরিচ্ছন্নতা দূর করতে হবে। শহরকে পোস্টারে ভরিয়ে ফেলা, সবুজ ধ্বংস করা বা বর্জ্য ফেলা—এসবই জুলুম। এই জুলুমের বিরুদ্ধেও আমাদের লড়তে হবে।”
‘স্বাধীনতা তোরণ’ উদ্বোধনের সময় প্রশাসক বলেন, “এই অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জুলাই আন্দোলনে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাদের সেই অবদানকে স্মরণ ও স্বীকৃতি দিতেই এখানে স্বাধীনতা তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।”
এসময় ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দীন, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুলকার নায়ন, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছাদেকুর রহমানসহ এনসিসির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
