নিউইয়র্কে ৭০% মানুষ ভাড়াটে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩:৪৪, ৪ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০১:২৬, ৫ নভেম্বর ২০২৫
স্বপ্নের শহর নিউইয়র্কেও এখন সাশ্রয়ীভাবে থাকা যেন বিলাসিতা! ছবি: ইডিসি এনওয়াইসি
বিশ্বজুড়ে জীবনযাত্রার ব্যয় ক্রমেই নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। জীবনযাপনে হিমশিম খেতে হচ্ছে নাগরিকদের। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের স্বপ্নের শহর নিউইয়র্কেও এখন সাশ্রয়ীভাবে থাকা যেন বিলাসিতা!
পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, শহরের ৮৫ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষ ভাড়াটে এবং প্রতি চারজনের একজন, অর্থাৎ ২৫ শতাংশ নাগরিক মৌলিক চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছেন।
ফরাসি সংবাদসংস্থা এএফপি ও সম্পত্তি সাইট স্ট্রিট ইজি এই তথ্য জানিয়েছে।
এই দুই মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুনে নিউইয়র্কে গড় মাসিক ভাড়া প্রথমবারের মতো ৪ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে—যা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গড় মাসিক ভাড়ার দ্বিগুণেরও বেশি। গত এক বছরে ফ্ল্যাটের ভাড়া বেড়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
এই বাড়িভাড়া ও মুদ্রাস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষ কঠিন সময় পার করছেন। ৬৫ বছর বয়সী বাসিন্দা সান্তিয়াগো বলেন, “আমরা আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য সাশ্রয়ী আবাসন চাই। আমরা খরচের ভারে জর্জরিত।”
অনেক পরিবার বাধ্য হয়ে শহর ছেড়ে নিউ জার্সি বা আশপাশের তুলনামূলক কম ব্যয়বহুল এলাকায় চলে যাচ্ছেন।
এমনকি এই শহরে মুদিখানার পণ্যের দামও বেড়েছে ৯ শতাংশ। ডিম, মাংস, মাছ ও হাঁস-মুরগির দাম বৃদ্ধির ফলে ৯০ শতাংশ নিউইয়র্কবাসী মনে করেন—তাদের আয় ব্যয়ের সঙ্গে আর সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
এই শহরের আরেক বাসিন্দা বারটেন্ডার স্টিভেন লোজে বলেন, “আমরা প্রতিদিন ভাবি—টাকাগুলো কোথায় চলে যাচ্ছে! সব খরচই কেবল বাড়ছে।”
এমন অর্থনৈতিক চাপের মধ্যেই নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচন ৪ নভেম্বর। প্রার্থী জোহরান মামদানি তার নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—বাড়িভাড়া স্থবিরকরণ ও পরবর্তী ১০ বছরে ২ লাখ নতুন বাড়ি নির্মাণের।
বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামসের আমলে বাড়িভাড়া বেড়েছে ১২ দশমিক ৬ শতাংশ।
মামদানি বলেন, “আবাসন নাগরিক অধিকার। শহরটিকে ধনীদের নয়, মানুষের জন্য গড়ে তুলতে হবে।”
