ইসির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
নিবন্ধন-প্রতীক পেল আরও ৩ রাজনৈতিক দল, এনসিপি পেল ‘শাপলা কলি’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২:০৫, ৪ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গ্রাফিক্স : সমাজকাল
অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের নিবন্ধন ও প্রতীক পেল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি শুরু থেকেই প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ চেয়ে এলেও শেষপর্যন্ত ‘শাপলা কলি’ পেয়েছে।
পাশাপাশি আরও দুটি রাজনৈতিক দলও নিবন্ধন ও প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছে। দল দুটোর মধ্যে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ মার্কসবাদী) পেয়েছে ‘কাঁচি’ ও বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি পেয়েছে ‘হ্যান্ডশেক’ প্রতীক।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে নিবন্ধন ও প্রতীক বরাদ্দের তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই তিন দলের নিবন্ধন ও প্রতীক সংক্রান্ত বিষয়ে যে কেউ আপত্তি বা দাবি জানাতে চাইলে ১২ নভেম্বরের মধ্যে ইসি সচিবের কাছে আবেদন করতে পারবেন।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, আপত্তি যাচাই শেষে ১৪-১৫ নভেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করা হবে।
তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। আপত্তির সুযোগ শেষে চূড়ান্তভাবে এই দলগুলোকে নিবন্ধন দেওয়া হবে।”
এর মধ্য দিয়ে এনসিপির প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে সংকট কাটলো। দলটি ‘শাপলা’ প্রতীকের দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের তালিকায় ‘শাপলা’ প্রতীক না থাকায় ইসি শুরু থেকেই ‘শাপলা’ বরাদ্দে অপারগতা প্রকাশ করে আসছে। এ নিয়ে রাজনীতিতেও বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছিল। শেষঅবধি ইসি ‘শাপলা কলি’সহ আরও কয়েকটি প্রতীক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। সেখান থেকে এনসিপিকে ‘শাপলা কলি’ বরাদ্দ দেয় ও এনসিপি সেটি মেনে নেয়।
নতুন নিবন্ধন পাওয়া দলগুলোর মধ্যে এনসিপি ২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জুলাই অভ্যুত্থানের সামনের সারির নেতাদের নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে। ‘জুলাই সনদ’ ও ‘রাষ্ট্রসংস্কার’ নিয়ে দলটি শুরু থেকেই সরব।
ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীন কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ১৭ এপ্রিল ‘বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি’ নামক দলের সূচনা করেন। প্রাথমিকভাবে দলের নাম ছিল ‘বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি’। পরে নাম পরিবর্তন করে বর্তমান নাম নেওয়া হয়।
২০১৩ সালের ১২ এপ্রিল বাসদের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামানের বিরুদ্ধে আদর্শচ্যুতির অভিযোগ তুলে দল থেকে আলাদা হয়ে যান মুবিনুল হায়দার চৌধুরী ও শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী। সেদিনই সংবাদ সম্মেলনে তারা বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ মার্কসবাদী) গঠন করেন।
নতুন এই তিন দলের নিবন্ধনের ফলে বাংলাদেশে বর্তমানে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৩। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করা হয়েছে এবং ফ্রিডম পার্টি, ঐকবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন ও পিডিপির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।
