নেপালে তুষারধসে ৭ পর্বতারোহীর মৃত্যু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭:৫১, ৪ নভেম্বর ২০২৫
ছবি: বিবিসি
নেপালের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হিমালয় পর্বতমালায় ভয়াবহ তুষারধসে অন্তত সাতজন পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন বিদেশি নাগরিক ও দুজন নেপালি গাইড রয়েছেন বলে জানিয়েছে অভিযান সংস্থা সেভেন সামিট ট্রেকস।
স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৯টার দিকে ইয়ালুং রি পর্বতের বেস ক্যাম্পের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে বিবিসি নেপাল।
উদ্ধারকর্মীরা এখন পর্যন্ত দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। বাকি পাঁচজনকে বরফের নিচে ১০ থেকে ১৫ ফুট গভীরে চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আহত আটজনকে হেলিকপ্টারে করে রাজধানী কাঠমান্ডুতে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।
ডোলাখা জেলার উপপুলিশ পরিদর্শক গ্যান কুমার মহাতো জানিয়েছেন, ‘খারাপ আবহাওয়া ও দুরূহ পাহাড়ি পথের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে, হেলিকপ্টার নামানোও সম্ভব হচ্ছে না।’
সেভেন সামিট ট্রেকসের চেয়ারম্যান মিংমা শেরপা বলেন, ‘নিখোঁজ পাঁচজনের দেহ বরফের গভীরে আটকে আছে। উদ্ধার করতে সময় লাগবে।’
নিহত বিদেশিদের মধ্যে রয়েছেন দুই ইতালীয়, একজন কানাডীয়, একজন জার্মান ও একজন ফরাসি নাগরিক। নিহত দুই গাইড নেপালের নাগরিক।
একজন আহত পর্বতারোহী স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা বারবার সাহায্যের জন্য ফোন করেছি, কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি। উদ্ধার দল সময়মতো পৌঁছালে আরও প্রাণ রক্ষা করা যেত।’
দলটি মূলত ৬৩৩২ মিটার উচ্চতার ডোলমা খাং শৃঙ্গ আরোহণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। অভিযোজন অনুশীলনের অংশ হিসেবে তারা ইয়ালুং রি (উচ্চতা ৫৬৩০ মিটার) পর্বতে উঠেছিল।
অন্যদিকে পশ্চিম নেপালের পানবারি পর্বতে নিখোঁজ দুই ইতালীয় পর্বতারোহী—স্টেফানো ফারোনাটো ও আলেসান্দ্রো কাপুটোকে উদ্ধারে অভিযান চলছে। তাদের সঙ্গী ভেলটার পার্লিনো (৬৫) ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছেন।
নেপালে প্রতি বছরের শরৎকাল পর্বতারোহণের জনপ্রিয় সময় হলেও এবার তা পরিণত হয়েছে বিপর্যয়ে। ঘূর্ণিঝড় মন্থা’র প্রভাবে বরফঝড় ও প্রবল বৃষ্টিপাতে হিমালয়ের বিভিন্ন এলাকায় দুর্যোগ দেখা দিয়েছে।
গত সপ্তাহেই দুই ব্রিটিশ ও এক আইরিশ নারীসহ কয়েকজন পর্বতারোহী পশ্চিমাঞ্চলীয় মুস্তাং এলাকায় আটকা পড়েছিলেন। অক্টোবরে খারাপ আবহাওয়ার কারণে মাউন্ট এভারেস্টের কাছেও শতাধিক পর্বতারোহী আটকা পড়েছিলেন।
