দ্বিতীয়বার বাজুস প্রেসিডেন্ট এনামুল হক খান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬:০৮, ৩ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৭:২৬, ৩ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এনামুল হক খান। ছবি: সংগৃহীত
ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভাস-এর স্বত্বাধিকারী এনামুল হক খান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে বাজুসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২০২৫–২০২৭ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসরিন ফাতেমা আউয়াল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাজুসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গুলজার আহমেদ, আর সঞ্চালনায় ছিলেন উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এনামুল হক খান বলেন, “বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর তার দক্ষতা ও নিষ্ঠা দিয়ে সংগঠনকে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত করেছেন। তার নেতৃত্বে বাজুস এখন প্রায় ৪০ হাজার সদস্যের পরিবারে পরিণত হয়েছে। সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আমি সর্বোচ্চ নিষ্ঠায় কাজ করব।”
ফলাফল ঘোষণার সময় নির্বাচন বোর্ডের সদস্য এস. কে. মজিবুর রহমান ইকবাল, মো. রকিবুল আলম দীপু, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গুলজার আহমেদ, নবনির্বাচিত সিনিয়র সহ-সভাপতি রনজিৎ ঘোষ, সহ-সভাপতি আজাদ আহমেদ, অভি রায় ও ইকবাল হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসরিন ফাতেমা আউয়াল বলেন, “সকলের সহযোগিতায় আমরা সফলভাবে বাজুসের নির্বাচন সম্পন্ন করতে পেরেছি। আশা করি নতুন কমিটি জুয়েলারি শিল্পের সমস্যাগুলো সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং বাংলাদেশের পণ্যকে আন্তর্জাতিক বাজারে ছড়িয়ে দেবে।”
নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্প আমাদের ঐতিহ্যের অংশ এবং এখন এটি অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে পরিণত হয়েছে। দেশে প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান এবং ১০ থেকে ১২ লাখ কারিগর কর্মরত। বার্ষিক সোনার চাহিদা সরকারি হিসাবে ৩০–৪০ টন এবং বেসরকারি হিসাবে ৭০–৯০ টন। এই বিশাল বাজার থেকে প্রত্যাশিত রাজস্ব পাওয়া যাচ্ছে না, কারণ উচ্চ কর-শুল্ক ও আমদানির জটিলতা উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে।”
নবনির্বাচিত বাজুস নেতৃত্ব (২০২৫-২৭ মেয়াদ)
প্রেসিডেন্ট: এনামুল হক খান (ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভাস)
সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট: রনজিৎ ঘোষ (সানন্দা জুয়েলার্স প্রা. লি.)
ভাইস প্রেসিডেন্ট: আজাদ আহমেদ (আপন ডায়মন্ড হাউজ), অভি রায় (জড়োয়া হাউজ প্রা. লি.), মো. ইকবাল হোসেন চৌধুরী (জেসিএক্স গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড)
কোষাধ্যক্ষ: অমিত ঘোষ
এছাড়া ২৯ সদস্যবিশিষ্ট পরিচালনা পর্ষদে নির্বাচিত হয়েছেন—মো. মিলন মিয়া, পবন কুমার আগরওয়াল, তানভীর রহমান, মো. লিটন হাওলাদার, বাবলু দত্ত, গণেশ দেবনাথ, আশিস কুমার মণ্ডল, মিজানুর রহমান, বিকাশ ঘোষ, সুমন চন্দ্র দে, মোস্তফা কামাল, ধনঞ্জয় সাহা (বিপুল), শ্রীবাস রায়, মো. আলী হোসেন, মো. রুবেল, নয়ন চৌধুরী, মো. ছালাম, ফাহাদ কামাল লিংকন, গৌতম ঘোষ, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, মো. তারেকুল ইসলাম চৌধুরী, আবু নাসের মো. আবদুল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম, সৌমেন সাহা, আককাছ আলী, মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, শাওন আহমেদ চৌধুরী, মো. নাজমুল হুদা লতিফ ও পলাশ কুমার সাহা।
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গুলজার আহমেদ বলেন, “জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে সায়েম সোবহান আনভীর জুয়েলারি ফ্যাক্টরি স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তার নেতৃত্বেই বাজুস আজ দেশের অন্যতম সুসংগঠিত ও বৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন।”
