পাঁচ ইসলামি ব্যাংকে প্রশাসক নিয়োগ : গভর্নর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:১৩, ৫ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর / ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিকভাবে দুর্বল পাঁচটি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংককে অকার্যকর ঘোষণা করে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সদর দফতরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন।
অকার্যকর ঘোষিত ব্যাংকগুলো হলো — এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।
গভর্নর জানান, এসব ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি, অনিয়ম ও পরিচালন সংকট এতটাই গভীর হয়েছে যে স্বাধীনভাবে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তাই গ্রাহকের স্বার্থে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে ব্যাংকগুলো পুনর্গঠন ও পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করা হবে।
তিনি বলেন,“এই ব্যাংকগুলোর ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে না। গ্রাহকের অর্থ ও আমানত পুরোপুরি সুরক্ষিত থাকবে। প্রশাসকরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালনা করবেন।”
ড. মনসুর আরও জানান, কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হবে না। তারা আগের মতোই বেতন-ভাতা পাবেন। পাশাপাশি, বিশেষ অডিটের মাধ্যমে প্রতিটি ব্যাংকের আর্থিক অনিয়ম চিহ্নিত করা হবে।
গভর্নর কঠোর ভাষায় বলেন,“এসআলমসহ যারা ব্যাংক খাতকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে গেছেন, তারা আর কখনও এই খাতে ফিরতে পারবেন না। তাদের দায় নির্ধারণ করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি জানান, পাঁচটি ব্যাংকের শেয়ারমূল্য শূন্য করা হয়েছে। এসব ব্যাংক এখন কার্যত সরকারি তত্ত্বাবধানে একীভূতভাবে পরিচালিত হবে।“একীভূত হওয়ার পর থেকেই আমানতকারীরা বাজারভিত্তিক মুনাফা পাবেন। এলসি ও রেমিট্যান্সের কার্যক্রমও চলমান থাকবে,” বলেন গভর্নর।
তিনি আরও আশ্বস্ত করে বলেন,“সরকার পরিবর্তন হলেও এই পুনর্গঠিত ব্যাংক কাঠামো অটুট থাকবে। এটি হবে সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাংক ব্যবস্থা।”
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমানতকারীরা চলতি মাসের শেষ নাগাদ পর্যায়ক্রমে টাকা তুলতে পারবেন। তবে তিনি অপ্রয়োজনীয়ভাবে অর্থ উত্তোলন না করার আহ্বান জানান।
