ভারতীয় বিমান পরিবহনে নতুন যুগ
দিল্লি ও মুম্বাইয়ে অক্টোবরেই নতুন বিমানবন্দর
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩:৪০, ৫ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০১:০৯, ৬ অক্টোবর ২০২৫

চলতি অক্টোবরেই চালু হচ্ছে নবি মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এনএমআইএ) ও নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এনআইএ)। এতে দিল্লি ও মুম্বাইয়ের বিদ্যমান বিমানবন্দরের চাপ কমবে এবং ভারত পরিণত হবে বৈশ্বিক বিমান পরিবহন কেন্দ্র হিসেবে।
ভারতের আকাশপথে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত
ভারতের বিমান পরিবহন খাতে আসছে বড় রদবদল। দেশের দুই ব্যস্ততম মহানগর—দিল্লি ও মুম্বাই—এই মাসেই পাচ্ছে নতুন দুটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। নবি মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এনএমআইএ) উদ্বোধন হবে ৮ অক্টোবর, আর নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এনআইএ) খুলছে ৩০ অক্টোবর।
আইএএনএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দুই বিমানবন্দর চালুর মধ্য দিয়ে ভারত সরকারের বৃহত্তর অবকাঠামো উন্নয়ন পরিকল্পনায় এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক রচিত হচ্ছে। এর ফলে রাজধানী দিল্লি ও বাণিজ্যনগরী মুম্বাই আর একক বিমানবন্দরের ওপর নির্ভরশীল থাকবে না; যাত্রী ও কার্গো পরিবহনে আসবে বৈপ্লবিক গতি।
যাত্রী ও এয়ারলাইনের জন্য স্বস্তি
নতুন বিমানবন্দর দুটি চালুর ফলে বিদ্যমান ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (দিল্লি) ও ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (মুম্বাই) উপর থেকে চাপ অনেকটা কমবে। এর ফলে ফ্লাইট সূচি হবে আরও সময়নিষ্ঠ, আন্তর্জাতিক রুট বাড়বে এবং দেশি-বিদেশি যাত্রীদের জন্য বাড়বে সংযোগ ও আরাম।
এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো ও আকাসা এয়ারের মতো বিমানসংস্থাগুলোও পাবে নতুন সুযোগ—নতুন রুট চালুর পাশাপাশি বহর সম্প্রসারণের ক্ষেত্রেও।
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় ভারতের অগ্রযাত্রা
বিশেষজ্ঞদের মতে, নবি মুম্বাই ও নয়ডা বিমানবন্দর চালু হলে দিল্লি-এনসিআর ও মুম্বাই-মেট্রোপলিটন অঞ্চল পরিণত হবে সত্যিকার অর্থেই বহুমাত্রিক বৈশ্বিক বিমানকেন্দ্রে। এর ফলে ভারত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে দুবাই, লন্ডন ও সিঙ্গাপুরের মতো বড় আন্তর্জাতিক হাবগুলোর সঙ্গে।
গোয়া ইতিমধ্যে এ ধরনের “মাল্টি-এয়ারপোর্ট সিটি”-র মডেল তৈরি করেছে; মোপা বিমানবন্দর চালুর পর সেখানে যাত্রী প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। একই প্রবণতা দিল্লি ও মুম্বাইতেও দেখা যাবে বলে বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস।
নবি মুম্বাই বিমানবন্দরটি গড়ে তুলছে আদানি গ্রুপ, আর নয়ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ করছে সুইস প্রতিষ্ঠান ফ্লুঘাফেন জুরিখ এজি (Flughafen Zurich AG) ও জিএমআর গ্রুপ।
মুম্বাই বিমানবন্দর ইতোমধ্যেই ধারণক্ষমতার সীমায় পৌঁছেছে, কিন্তু দিল্লি বিমানবন্দরে এখনো কিছু সম্প্রসারণের সুযোগ আছে। তবু নতুন দুটি প্রকল্প চালুর ফলে ভারতীয় বিমান খাতের দ্রুত বর্ধনশীল বাজার আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র : গালফ নিউজ