নবি মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উদ্বোধন
ভারতের বিমান যোগাযোগে নতুন যুগের সূচনা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮:৪২, ৮ অক্টোবর ২০২৫

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ (বুধবার) বিকেলে উদ্বোধন করেছেন অত্যাধুনিক নবি মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর—দেশটির বিমান পরিবহন খাতে এক যুগান্তকারী সংযোজন হিসেবে দেখা হচ্ছে এই প্রকল্পটিকে। ১৯ হাজার ৬৫০ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত এই বিমানবন্দর মুম্বাই, পুনে ও কোকণ অঞ্চলের বাণিজ্য, পর্যটন এবং শিল্প সংযোগে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মোদি বলেন, “২০১৪ সালে ভারতে বিমানবন্দর ছিল মাত্র ৭৪টি, আর এখন সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০। উদান যোজনার মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ প্রথমবার আকাশপথে যাত্রার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছেন।” তিনি আরও বলেন, “এই বিমানবন্দর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে মুম্বাইয়ের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটলো। ‘বিকসিত ভারত’ স্বপ্নে আমরা এগিয়ে চলেছি গতি ও প্রগতির পথে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী কিন্জারাপু রামমোহন নাইডু, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস এবং আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। প্রধানমন্ত্রী মোদি উদ্বোধনের আগে পুরো বিমানবন্দরটি ঘুরে দেখেন এবং প্রকল্পের কারিগরি বিশদ সম্পর্কে অবগত হন।
নবি মুম্বাই বিমানবন্দর নির্মিত হয়েছে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (PPP) ভিত্তিতে — মুম্বাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড (যা আদানি এয়ারপোর্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান) এবং মহারাষ্ট্র সরকারের সিডকো (City and Industrial Development Corporation of Maharashtra Ltd)-এর যৌথ উদ্যোগে।
প্রথম পর্যায়ে বিমানবন্দরটি বছরে প্রায় দুই কোটি যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা রাখবে। এটি সরাসরি বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ করে দেবে পুনে ও পশ্চিম ভারতের শিল্পাঞ্চলের জন্য। ভবিষ্যতে সম্পূর্ণ কার্যকর হলে বিমানবন্দরটি বছরে ৯ কোটি যাত্রী ও ৩.২ মিলিয়ন মেট্রিক টন কার্গো পরিবহন করতে পারবে।
৩,৭০০ মিটার দীর্ঘ রানওয়ে নিয়ে এটি ভারতের বৃহত্তম গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্ট প্রকল্প। এটি মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করবে, ফলে মুম্বাই হবে বিশ্বের সেইসব শহরের তালিকায়—যেখানে একাধিক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবস্থা রয়েছে, যেমন লন্ডন, টোকিও এবং নিউইয়র্ক।
ইতোমধ্যে ইন্ডিগো, আকাসা এয়ার ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস নতুন বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এই প্রকল্প শুধু বাণিজ্যিক ভ্রমণই নয়, পর্যটন, কার্গো ট্রানজিট, এবং আঞ্চলিক অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।