আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনাপ্রাথমিক রিপোর্ট
‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫:৩২, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভারতের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে তৈরি প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। গত ১২ জুন গুজরাটের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়া-১৭১ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ২৬০ জনের প্রাণহানি ঘটে। উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি ভেঙে পড়ে।
এই ঘটনায় আদালতের নজরদারিতে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মামলাটি শুনানির সময় বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি এনকে সিংহের বেঞ্চ প্রাথমিক রিপোর্টকে ‘অভাগা ও অপর্যাপ্ত’ আখ্যা দেন। আদালত কেন্দ্রীয় সরকার ও ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)-কে নোটিশ পাঠিয়ে মতামত দিতে নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনা তদন্তকারী সংস্থা ‘এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’ (এএআইবি)-র কাছ থেকেও বিস্তারিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
গত জুলাইয়ে প্রকাশিত এএআইবি’র রিপোর্টে বলা হয়, ককপিটে দুই পাইলটের কথোপকথনে উঠে আসে জ্বালানি সুইচ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি। একজন অপরজনকে প্রশ্ন করেন, “কেন তুমি বন্ধ করলে?” জবাবে অপরজন বলেন, “আমি করিনি।” তবে কোন পাইলট এই কথোপকথনে ছিলেন তা স্পষ্ট করা হয়নি। ফলে তদন্তের দায় সরাসরি পাইলটের ঘাড়ে চাপানো নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
উল্লেখ্য, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি বোয়িংয়ের তৈরি। অতীতে বোয়িংয়ের একাধিক উড়োজাহাজ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনায় পড়েছে। ফলে এ ঘটনায়ও বোয়িংয়ের দায় নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তবে প্রাথমিক রিপোর্টে পাইলটদের সিদ্ধান্তকে দায়ী করায় কিছুটা স্বস্তি পায় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান।
মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ আদালতে বলেন, “এত ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরও ১০০ দিনের বেশি কেটে গেছে। এখনও পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি। কেবল একটি অস্পষ্ট প্রাথমিক রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে এখনো বড় ধরনের ঝুঁকি রয়ে গেছে।”
এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনার আসল কারণ পরিষ্কার হয়নি। আদালতের হস্তক্ষেপে নতুন করে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।