এদিন জন্ম নেন একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬:০৬, ১ নভেম্বর ২০২৫
আজ ১ নভেম্বর—ইতিহাসের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছেন রাজনীতি, সাহিত্য, বিজ্ঞান, খেলাধুলা ও বিনোদনজগতের একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। তাদের কর্ম ও কৃতিত্ব আজও মানবসভ্যতাকে অনুপ্রেরণা জোগায়। বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি, বিশিষ্ট চিকিৎসক, রাজনীতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী
কার্লোস সাভেড্রা লামাস (১৮৭৮–১৯৫৯)
আর্জেন্টিনার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিক। দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি (১৯৩৬)। চিলি ও বলিভিয়ার মধ্যে শান্তিচুক্তি মধ্যস্থতা করে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। লামাস আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক শান্তি প্রক্রিয়ার অগ্রদূত হিসেবেও ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।
ফিলিপ নোয়েল-বেকার (১৮৮৯–১৯৮২)
কানাডায় জন্মগ্রহণ করলেও ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নিয়ে শান্তি আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। রাজনীতিক, কূটনীতিক ও অলিম্পিক ক্রীড়াবিদ হিসেবে তাঁর বহুমুখী জীবন বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৫৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান।
আবু ইসহাক (১৯২৬–২০০৩)
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম বরেণ্য কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক। তার উপন্যাস সূর্য দীঘল বাড়ি বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজ, ধর্মীয় কুসংস্কার ও মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রামকে বাস্তবতার নির্যাসে রূপ দিয়েছে। গল্প, প্রবন্ধ ও শিশু সাহিত্যেও তিনি সমান পারদর্শী ছিলেন।
আবু বারকাত আতাউর গণী খান চৌধুরী (১৯২৭–২০০৬)
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট রাজনীতিক ও প্রাক্তন সাংসদ। কংগ্রেস দলের বর্ষীয়ান নেতা হিসেবে মালদহ জেলায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তাঁর অবদান আজও স্মরণীয়। তাঁকে ‘মালদহের রবিনহুড’ নামে ডাকতেন স্থানীয়রা।
একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী (জ. ১৯৩২)
বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি, বিশিষ্ট চিকিৎসক, রাজনীতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে জাতীয় রাজনীতিতে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। পরে তিনি বিকল্প ধারা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন। চিকিৎসা ও মানবকল্যাণমূলক কাজেও তিনি সম্মানিত।
সমীর রায়চৌধুরী (জ. ১৯৩৩)
বাংলা কবিতায় ‘হাংরি আন্দোলন’-এর অন্যতম প্রবর্তক। তার কবিতা ও ছোটগল্পে দেখা যায় আধুনিক নগর জীবনের হতাশা, প্রতিবাদ ও বিদ্রোহ। সমীর রায়চৌধুরী ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক ব্যতিক্রমী ও নির্ভীক কণ্ঠস্বর।
নরেন্দ্র দাভোলকার (১৯৪৫–২০১৩)
ভারতের মহারাষ্ট্রের সমাজ সংস্কারক ও চিকিৎসক। অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার দূরীকরণের লক্ষ্যে ‘মহারাষ্ট্র অন্ধশ্রদ্ধা নির্মূলন সমিতি’ প্রতিষ্ঠা করেন। যুক্তিবাদ ও মানবতার পক্ষে তাঁর নিরন্তর সংগ্রাম তাঁকে শহীদত্ব এনে দেয়।
আবু সাইয়িদ (জ. ১৯৪৫)
বাংলাদেশের স্বনামধন্য চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী। তার চলচ্চিত্র নির্বাচিত নারী ও বুকের ভিতর আগুন জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। শিল্প, সাহিত্য ও রাজনীতিতে তাঁর অবদান তাঁকে একটি বহুমাত্রিক চরিত্রে পরিণত করেছে।
মাইকেল ডগলাস গ্রিফিন (জ. ১৯৪৯)
মার্কিন প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানী, নাসার সাবেক প্রধান প্রশাসক। মহাকাশ প্রযুক্তি উন্নয়ন ও মানববাহী মহাকাশ কর্মসূচির আধুনিকীকরণে তাঁর ভূমিকা অনন্য।
রবার্ট বি. লাফলিন (জ. ১৯৫০)
আমেরিকান পদার্থবিদ ও ১৯৯৮ সালের নোবেল পদার্থবিজ্ঞান পুরস্কার বিজয়ী। কোয়ান্টাম হল প্রভাব নিয়ে তাঁর গবেষণা আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
আনিস বাজমি (জ. ১৯৬২)
বলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক। নো এন্ট্রি, ওয়েলকাম, ভুল ভুলাইয়া ২ ইত্যাদি বাণিজ্যিকভাবে সফল সিনেমার নির্মাতা তিনি।
মার্ক হিউজ (জ. ১৯৬৩)
ওয়েলসের কিংবদন্তি ফুটবলার ও কোচ। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও বার্সেলোনার হয়ে খেলে তিনি বিশ্ব ফুটবলে খ্যাতি অর্জন করেন। পরবর্তীতে বহু ক্লাবের সফল ম্যানেজার হিসেবেও পরিচিত।
পদ্মিনী কোলহাপুরী (জ. ১৯৬৫)
ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী, যিনি আশির দশকে প্রেম রোগ, সত्यमেব জয়তে প্রভৃতি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে কোটি দর্শকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তাঁর পরিশীলিত অভিনয় ও সংবেদনশীল চরিত্রচিত্রণ আজও আলোচ্য।
আকরাম খান (জ. ১৯৬৮)
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির পরিচালক। তাঁর অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জিতে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। এখন তিনি দেশের ক্রিকেট কাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
ঐশ্বরিয়া রাই (জ. ১৯৭৩)
বিশ্বসুন্দরী, বলিউড অভিনেত্রী ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তারকা। দেবদাস, জোধা আকবর, তাল, গুরু প্রভৃতি ছবিতে অভিনয়ে তিনি বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। ভারতীয় চলচ্চিত্রকে বৈশ্বিক মানচিত্রে উজ্জ্বল করেছেন তিনি।
টিস্কা চোপড়া (জ. ১৯৭৩)
বলিউডের প্রতিভাবান অভিনেত্রী, লেখিকা ও পরিচালক। তারে জমিন পর, কুরবাণ, হোস্টেজেসসহ বহু আলোচিত কাজের জন্য সমাদৃত। নারী নেতৃত্ব ও স্বাধীন চিন্তার পক্ষে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট।
ভিভিএস লক্ষ্মণ (জ. ১৯৭৪)
ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান ও ক্রিকেট বিশ্লেষক। তাঁর অনবদ্য ইনিংস—বিশেষ করে ২০০১ সালের কলকাতা টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৮১ রানের ইনিংস—ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে অমর হয়ে আছে।
ইলিয়ানা ডি’ক্রুজ (জ. ১৯৮৬)
ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, তেলুগু ও হিন্দি সিনেমায় সমান জনপ্রিয়। বরফি! সিনেমায় তাঁর অভিনয় তাকে জাতীয় স্বীকৃতি এনে দেয়। গ্ল্যামার ও অভিনয়ের মিশেলে তিনি তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণা।
