বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

| ১৪ কার্তিক ১৪৩২

জন্মদিনে যাদের মনে রাখি

সুকুমার রায় এই দিনেই জন্মেছেন

সমাজকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬:০৫, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

সুকুমার রায় এই দিনেই জন্মেছেন

আজকের দিনে ইতিহাসে জন্ম নিয়েছেন যারা — তাদের অবদানেই সমৃদ্ধ হয়েছে বিশ্বমানবতার পথচলা। বাঙালি শিশুসাহিত্যের অমর কবি, ছড়াকার ও রম্যরচনাকার। ‘আবোল তাবোল’, ‘হযবরল’ ও ‘পাগলা দাশু’ তার অমর সৃষ্টি। বাঙালি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক পাঠকের কল্পনাবিলাসে তিনি এখনও অনন্ত আনন্দের উৎস। তাঁর ভাষার খেলা ও ব্যঙ্গরস বাংলা সাহিত্যের চিরকালীন সম্পদ।

জন অ্যাডামস (১৭৩৫ – ১৮২৬)

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি এবং স্বাধীনতার অন্যতম স্থপতি। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণাপত্রের প্রধান রচয়িতাদের মধ্যে তিনি ছিলেন একজন, পাশাপাশি প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। রাষ্ট্রীয় নৈতিকতা, শিক্ষা ও গণতন্ত্রের ভিত্তি নির্মাণে তার ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য।

স্যামুয়েল বোর্ন (১৮৩৪ – ১৯১২)

ঊনবিংশ শতকের অন্যতম বিশিষ্ট ব্রিটিশ আলোকচিত্রশিল্পী। ভারতের পর্বতাঞ্চল, কাশ্মীর, হিমালয় ও দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্য তার ক্যামেরায় অমর হয়ে আছে। তাঁকে ভারতীয় ফটোগ্রাফির পথিকৃৎদের একজন বলা হয়।

প্রমথনাথ মিত্র (১৮৫৩ – ১৯১০)

ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম দিকের বিপ্লবী সংগঠক। তিনি ছিলেন যুগান্তর গোষ্ঠীর অন্যতম অনুপ্রেরণা। বিপ্লবী প্রতিষ্ঠান ‘আনন্দমঠ’-এর সংগঠনে তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আইনজীবী হলেও তার চিন্তা ও কর্মকাণ্ড রাজনৈতিক স্বাধীনতার বীজ রোপণ করেছিল বাংলার তরুণ সমাজে।

হ্যারি ফস্টার (১৮৭৩ – ১৯৫০)

ইংল্যান্ডের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার, যিনি ফস্টার পরিবারের ঐতিহ্য বহন করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেটে তাঁর নেতৃত্ব ও পারফরম্যান্স তাঁকে ইংরেজ ক্রিকেট ইতিহাসে আলাদা জায়গা দিয়েছে।

সুকুমার রায় (১৮৮৭ – ১৯২৩)

বাঙালি শিশুসাহিত্যের অমর কবি, ছড়াকার ও রম্যরচনাকার। ‘আবোল তাবোল’, ‘হযবরল’ ও ‘পাগলা দাশু’ তার অমর সৃষ্টি। বাঙালি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক পাঠকের কল্পনাবিলাসে তিনি এখনও অনন্ত আনন্দের উৎস। তাঁর ভাষার খেলা ও ব্যঙ্গরস বাংলা সাহিত্যের চিরকালীন সম্পদ।

গারহার্ড ডোমাগ (১৮৯৫ – ১৯৬৪)

নোবেলজয়ী জার্মান রোগতত্ত্ববিদ ও জীবাণুবিদ। প্রোন্টোসিল নামে প্রথম অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ওষুধ উদ্ভাবনের মাধ্যমে আধুনিক অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসার ভিত্তি স্থাপন করেন। মানবজাতিকে মৃত্যুফাঁদ থেকে বাঁচাতে তাঁর অবদান যুগান্তকারী।

ডিকিনসন ডাব্লিউ. রিচার্ডস (১৮৯৫ – ১৯৭৩)

নোবেলজয়ী মার্কিন চিকিৎসক ও শারীরবিজ্ঞানী। হৃদ্‌যন্ত্রের রোগ নির্ণয়ে ক্যাথেটার প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে আধুনিক কার্ডিওলজির নতুন দ্বার খুলে দেন।

রুথ গর্ডন (১৮৯৬ – ১৯৮৫)

মার্কিন অভিনেত্রী, চিত্রনাট্যকার ও নাট্যকার। তার অভিনয় জীবন ছয় দশকেরও বেশি সময়জুড়ে বিস্তৃত। Harold and Maude ও Rosemary’s Baby চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি এখনো স্মরণীয়।

রাগনার গ্রানিট (১৯০০ – ১৯৯১)

ফিনল্যান্ড-জন্ম সুইডিশ নোবেলজয়ী শারীরবিজ্ঞানী। দৃষ্টি-সংক্রান্ত স্নায়বিক প্রক্রিয়া নিয়ে তাঁর গবেষণা মানবদেহের সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া বোঝার পথ উন্মোচন করে।

আজ তাদের জন্মদিনে সমাজকাল স্মরণ করছে কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধায়—

তাদের চিন্তা, বিজ্ঞান ও সৃজনশীলতার আলো আজও মানবসভ্যতার পথ দেখায়।

সম্পর্কিত বিষয়:

আরও পড়ুন