মুশফিক দেখালো, কীভাবে লম্বা সময় ক্রিকেটে টিকতে হয়
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬:২০, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক অনন্য অধ্যায়ের নাম মুশফিকুর রহিম। আর তার এই দীর্ঘ আন্তর্জাতিক যাত্রার সাক্ষী সাবেক অধিনায়ক ও কিংবদন্তি উইকেটরক্ষক খালেদ মাসুদ পাইলট। ২০০৫ সালের লর্ডস টেস্ট—যে ম্যাচে কৈশোর পেরনো এক কিশোর মুশফিক বাংলাদেশ দলে অভিষেক করেছিলেন, সেই সময়ের স্মৃতি মনে করেই পাইলট এখন বুঝতে পারছেন—“মুশফিক দেখিয়েছে, কীভাবে কঠোর পরিশ্রম, পেশাদারিত্ব আর আত্মনিবেদনের মাধ্যমে লম্বা সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টিকে থাকা যায়।”
পাইলট স্মরণ করালেন এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য—মুশফিকের টেস্ট অভিষেক (মে, ২০০৫) ম্যাচে উইকেটকিপিং করেননি তিনি।
বললেন,“অনেকে জানে না—মুশফিক প্রথম টেস্টে শুধুই ব্যাটার হিসেবে খেলেছিল। আমি ছিলাম কিপার। একদম শিশুসম মুখ, ছোট্ট ছেলেটা… কিন্তু চোখে ছিল প্রবল ক্ষুধা, শেখার তাগিদ।”
ঢাকার ক্যাম্প, ইংল্যান্ড সফরের নেট প্র্যাকটিস—সব জায়গায় মুশফিকের নিবেদন পাইলট নিজ চোখে দেখেছেন।
সময়ের সাথে সাথে দৃশ্যপট বদলে যায়। পাইলট বলেন—“আমার জাতীয় দল ছাড়ার পর মুশফিক নিজেকে কিপার হিসেবে গড়ে তোলে। তারপর একসময় দলের নাম্বার ওয়ান কিপার–ব্যাটসম্যান হয়ে ওঠে। এটাও তার কঠোর পরিশ্রম ও ফিটনেস সচেতনতার ফল।”
তিনি আরও যোগ করেন—“মুশফিক দেখিয়ে দিয়েছে—শুধু মেধাই যথেষ্ট নয়, ক্যারিয়ার লম্বা করতে হলে ত্যাগ, শৃঙ্খলা, ফিটনেস আর মানসিক দৃঢ়তা লাগে।”
পাইলটের ভাষায়—“মুশফিক একটা এক্সামপল সেট করেছে। কীভাবে লম্বা সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টিকে থাকা যায়—এটা ও নিজের ক্যারিয়ার দিয়ে নতুন প্রজন্মকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।”
লম্বা ক্যারিয়ার ধরে রাখতে—নিয়মিত ফিটনেস,আত্মনিয়ন্ত্রণ,অনুশীলনের প্রতি অদম্য আগ্রহ,ব্যর্থতার পর উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা -এসবই মুশফিককে আলাদা করে তুলেছে বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ রান, একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তিনটি ডাবল সেঞ্চারি—এই রেকর্ডগুলো মুশফিককে বিশেষ উচ্চতায় বসিয়েছে।
এখন অপেক্ষা—১৯ নভেম্বর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তার ১০০তম টেস্ট।
পাইলটের প্রার্থনা—“আল্লাহ যেন তাকে শততম টেস্টে একটি বড় ইনিংস খেলতে তাওফিক দেন। সে যেন ১০০তম ম্যাচটাকে সোনালি করে রাখতে পারে, ভক্তদের স্মরণীয় উপহার দিতে পারে।”
