সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বাড়িতে নীরবতা
দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮:১০, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের গ্রামের বাড়ি—ঢাকার দোহার উপজেলার শাইনপুকুর এলাকায় অবস্থিত তিনতলাবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন ভবনটি—রায়ের পর এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। একসময় যেখানে মানুষের আনাগোনা ও রাজনৈতিক কর্মীদের ভিড় ছিল, সেখানে এখন নেমে এসেছে গভীর নীরবতা।
বাড়িটি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর এবং দোহার উপজেলার সীমানার কাছে, ঢাকা–দোহার–শ্রীনগর হাইওয়ের পাশেই অবস্থিত। গত ৫ আগস্টের অভ্যুত্থান–পরবর্তী পরিস্থিতিতে সারা দেশে বহু এমপি–মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা হলেও এই বাড়িটি অরক্ষিত অবস্থায় ছিল। পরবর্তীতে জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত গণহত্যার মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে এবং দেশে থাকা তার সব স্থাবর–অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নেওয়ার নির্দেশ দেয়।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে শাইনপুকুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাড়িটির প্রধান ফটকে তালা ঝুলছে। বাইরে থেকে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া মেলেনি। ফটকে আগে থাকা নেমপ্লেটটিও খুলে নেওয়া হয়েছে। বাড়ির চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা চোখে পড়েনি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও কাউকে দেখা যায়নি।
স্থানীয় একজন বাসিন্দা জানান, ৫ আগস্টের পর মাঝে মাঝে বাড়িটিতে আসতেন আসাদুজ্জামানের ছোট ভাই খোকন মিয়া। তবে গত এক মাস ধরে কাউকেই আসতে দেখা যায়নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল প্রায়ই শুক্রবারে এই বাড়িতে আসতেন, দিনভর বিশ্রাম নিয়ে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরে যেতেন। টানা দুই মেয়াদে তিনি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমানে রায় ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশের পর বাড়িটি পুরোপুরি জনশূন্য—যেন হঠাৎ নিভে যাওয়া এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক অধ্যায়ের নীরব সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
