ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ১৩
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯:০১, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০৯:০৩, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
ছবি: আনাদোলু এজেন্সি
লেবাননের সিদোন শহরের আইন আল-হিলওয়াহ ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার গভীর রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। হামলায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন, যদিও নির্দিষ্ট সংখ্যা জানায়নি মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে বলেছে, শরণার্থী শিবিরের ভেতরের একটি কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এনএনএ অনুসারে, কেন্দ্রটিতে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। হামলার পর সিদোনের হাসপাতালগুলোতে প্রচুর সংখ্যক আহত ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয় এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য রক্ত দানের আহ্বান জানানো হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, এই হামলায় হামাসের সদস্যদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, যারা ওই কেন্দ্রটির ভেতরে ছিল। তারা অভিযোগ করে, লক্ষ্যবস্তু করা এই স্থাপনাটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার ছক কষতে ব্যবহার করা হচ্ছিল।
অন্যদিকে, হামাস এই হামলাকে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এক নির্দয় আক্রমণ এবং লেবাননের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে নিন্দা করেছে। হামাস এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের এই দাবি অস্বীকার করেছে যে, কেন্দ্রটি হামলার ছক কষতে ব্যবহৃত হচ্ছিল। হামাস জানায়, হামলায় একটি খোলা খেলার মাঠে থাকা একদল কিশোরকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
এই হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে দক্ষিণ লেবাননের বিন্ত জেবিল এবং ব্লিদা শহরে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় আরও দুজন নিহত হন।
২০২৪ সালের অক্টোবরেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আইন আল-হিলওয়াহ শিবিরে অনুরূপ হামলা চালিয়েছিল, যাতে তিনজন শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছিল।
দক্ষিণ লেবাননে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা বাড়ছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী লেবাননের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে প্রায় প্রতিদিন বিমান হামলা জোরদার করছে, যেখানে তারা কথিত হিজবুল্লাহ সদস্য ও অবকাঠামোগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের হামলায় লেবাননে ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ১৭ হাজার আহত হয়েছেন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এই হামলা পূর্ণ মাত্রার আক্রমণে পরিণত হয়।
২০২৪ সালের নভেম্বরে ঘোষিত যুদ্ধবিরতি অনুসারে, এই বছরের জানুয়ারিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দক্ষিণ লেবানন থেকে সরে আসার কথা ছিল। তবে তারা কেবল আংশিকভাবে সরে আসে এবং পাঁচটি সীমান্ত ফাঁড়িতে এখনো সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে।
