জয়ে ফিরলো বার্সেলোনা, ব্যবধান কমালো রিয়ালের সঙ্গে
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭:০৭, ৩ নভেম্বর ২০২৫
এল ক্লাসিকোয় রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হতাশাজনক হারের ক্ষত শুকাতে খুব বেশি সময় লাগল না বার্সেলোনার। শনিবার রাতে এলচের মাঠে চমৎকার ফুটবল উপহার দিয়ে ৩–১ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। এই জয়ে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থানীয় রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে কাতালান ক্লাবটি।
ম্যাচের নবম মিনিটেই লামিনে ইয়ামালের দারুণ গোল বার্সাকে এগিয়ে দেয়। ডেভিড আফেনগ্রুবার্সের ভুল পাস কুড়িয়ে আলেহান্দ্রো বালদে নিখুঁত ক্রস পাঠান, যা ১৭ বছর বয়সী ইয়ামাল অসাধারণ ভলিতে জালে পাঠান। আগস্টের পর এটি তার প্রথম লা লিগা গোল।
তিন মিনিটের ব্যবধানে ফেরান তোরেস ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এলচে ডিফেন্ডার আদ্রিয়া পেদ্রোসার ভুলের সুযোগ নিয়ে ফারমিন লোপেজ বক্সে ঢুকে নিখুঁতভাবে বল বাড়ান, যা ঠান্ডা মাথায় জালে পাঠান তোরেস।
৪১তম মিনিটে রাফা মির এলচের হয়ে একটি গোল শোধ দেন। আলভারো নুনিয়েজের থ্রু-পাসে ডিফেন্স ভেঙে ঠান্ডা মাথায় গোলরক্ষক সেজনিকে পরাস্ত করেন তিনি।
বিরতির পর রাশফোর্ডের একটি গোল অফসাইডে বাতিল হয়, কিন্তু ৬০তম মিনিটে তিনি আর ভুল করেননি। ফারমিন লোপেজের পাস ধরে ডানদিক দিয়ে বক্সে ঢুকে নিখুঁত এক শটে ক্রসবার ঘেঁষে বল জালে পাঠান এই ইংলিশ তারকা। এটি ছিল বার্সার হয়ে তার পঞ্চম গোল—ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ধারে আসার পর থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন তিনি।
এলচের হয়ে একাই লড়ছিলেন রাফা মির। ৭৫তম মিনিটে তার জোরালো শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে—রিপ্লেতে দেখা যায়, গোলরক্ষক ভয়চেখ সেজনি আঙুলের ছোঁয়ায় বলটি দারুণভাবে বাঁচিয়ে দেন।
শেষ ১৫ মিনিটে মিডফিল্ডে কুন্দে, ফারমিন লোপেজ ও ডি ইয়ংয়ের পাসিং-দক্ষতা এবং ডিফেন্সে আরাউহো-এরিক গার্সিয়ার দৃঢ়তায় আর ফিরতে পারেনি এলচে।
ম্যাচ শেষে কোচ হ্যান্সি ফ্লিক বলেন,“আমরা জানতাম এই ম্যাচটা মানসিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইয়ামাল ও রাশফোর্ড দেখিয়েছে, কীভাবে নতুন প্রজন্ম বার্সেলোনার ভবিষ্যৎ তৈরি করছে।”
এই জয়ের ফলে ১১ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বার্সেলোনা। শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ এখন মাত্র ৫ পয়েন্ট এগিয়ে আছে।
এই জয়ে বার্সেলোনা আবারও জানিয়ে দিল—লা লিগার শিরোপা দৌড় এখনো শেষ হয়নি। তরুণ ইয়ামালের প্রতিভা, ফেরান তোরেসের ধারাবাহিকতা এবং রাশফোর্ডের অভিজ্ঞতা মিলিয়ে ফ্লিকের বার্সা যেন নতুন যুগের সূচনা করছে।
