ধনীদের ৫০০ বছর আগে জান্নাতে যাবে দরিদ্ররা
মাইসারা জান্নাত
প্রকাশ: ১৪:০৮, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
ধনীরা অনেক সম্পদ অর্জন করে। তাদের জবাবদিহিও করতে হবে বেশি। হালাল পথে অর্জন করেছে কি না, ব্যয় করেছে কোথায়, পরকালে এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। তাই তাদের হিসাবও দীর্ঘ হবে। অপরদিকে দরিদ্রদের জবাবদিহির বোঝা হালকা হবে। তারা কম সম্পদ অর্জন করে, দুনিয়াতে তাদের প্রাপ্তি কম। তাই পরকালে তাদের হিসাবও কম হবে। ফলে তারা দ্রুত হিসাব দিয়ে ধনীদের ৫০০ বছর আগে জান্নাতে পৌঁছে যাবে।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, একদিন আমি একদল নিঃস্ব মুহাজিরের সঙ্গে বসলাম। তাদের অবস্থা এতই শোচনীয় ছিল যে, (পরিধেয় বস্ত্র খুবই ছোট হওয়ায়) পরস্পর পরস্পরের সতর আড়াল করে বসেছিলেন। একজন আমাদেরকে কোরআন তেলাওয়াত করে শুনাচ্ছিলেন। এমন সময় নবীজি (সা.) এসে দাঁড়ালে তার তেলাওয়াত বন্ধ করলেন।
নবীজি (সা.) সালাম দেওয়ার পর প্রশ্ন করলেন, তোমরা কী করছিলে? আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! ইনি আমাদের কাছে কোরআন পড়েন, আর আমরা মহান আল্লাহর কিতাব মনোযোগ দিয়ে শুনি।
নবীজি (সা.) বললেন, যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমার উম্মতের মধ্যে এমন ধৈর্যশীল লোক রেখেছেন, যাদের সঙ্গে আমাকেও ধৈর্যধারণের আদেশ দিয়েছেন।
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, অতঃপর নবীজি (সা.) আমাদের মাঝে এসে বসলেন এবং আমাদের জামাতকে পূর্ণতা দিলেন। এরপর তিনি উপস্থিত লোকদের হাত দিয়ে ইশারা করে গোল হয়ে বসার আদেশ দিলেন। তারা গোলাকার হয়ে বসলেন এবং সবার চেহারা তার দিকে উদ্ভাসিত হয়ে উঠল।
আবু সাইদ খুদরি (রা.) বলেন, আমার মনে হয়, নবীজি (সা.) আমি ছাড়া তাদের মধ্যে আর কাউকে চিনতে পারেননি। তখন নবীজি (সা.) বললেন, হে নিঃস্ব-দুর্বল মুহাজিররা! তোমাদের জন্য কিয়ামতের দিনের পরিপূর্ণ নূরের সুসংবাদ। তোমরা ধনীদের চেয়ে অর্ধ দিবস আগে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর এই অর্ধ দিবসের পরিমাণ হলো পাঁচশ বছর। (সুনানে আবু দাউদ)
