সংস্কার না হলে নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হবে: আখতার হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:৪৯, ৯ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০২:৫৪, ১০ নভেম্বর ২০২৫
আখতার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
সংবিধান সংস্কার আটকে গেলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
তিনি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হলে সরকারের এক্সিট পয়েন্ট ও নির্বাচনের রূপরেখা—দুটিই অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে।
রবিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এনসিপি সমর্থিত আইনজীবী সংগঠন ‘ন্যাশনাল ল’ইয়ার্স অ্যালায়েন্স’ (এনএলএ) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শিরোনাম ছিল ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পথরেখা’।
আখতার হোসেন বলেন, “সংস্কারের জায়গায় কোনো বাধা তৈরি হলে সরকারের এক্সিট পয়েন্ট কী হবে, আর সামনে নির্বাচন কীভাবে হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশার জায়গা তৈরি হবে। সেই ধোঁয়াশার সুযোগ যেন সরকারের ভেতরের কোনো শক্তি কাজে লাগাতে না পারে।”
তিনি আরও বলেন, পুরোনো ব্যবস্থার সবকিছু একসঙ্গে পরিবর্তন করা না গেলেও জুলাই সনদে যতটুকু অর্জন হয়েছে, অন্তত সেটুকু দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
“না হলে এত মানুষের জীবনদানের পরও ‘গুড়ে বালি’ পরিস্থিতি তৈরি হবে,”—বলেন এনসিপি নেতা।
বিপ্লব-পরবর্তী বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট টেনে আখতার হোসেন বলেন, “এই সংবিধানের ততটুকুই কার্যকর আছে, যতটুকু বিপ্লব–পরবর্তী স্থিতিশীলতার জন্য প্রয়োজন। এর অতিরিক্ত কিছু এখন আর কার্যকর নয়।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন- পুরোনো সংবিধানের ফাঁদে পড়ে কি দেশের পরিবর্তনের স্বপ্নকে জলাঞ্জলি দেওয়া হবে?
সংস্কারের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে না ঠেলে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন এনসিপির সদস্যসচিব। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো আলাপ–আলোচনা করেছে, ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন সরকারের কাজ হলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে নির্বাচনের পথ পরিষ্কার করা।”
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনারা যে ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন, তার বাইরে যাবেন না। জনগণ চায় জুলাই সনদের দ্রুত বাস্তবায়ন।”
এনসিপির এই সদস্যসচিব বলেন, ‘বিষয়টা হওয়ার কথা ছিল এটাই যে এনসিপি, বিএনপি, জামায়াত, সব পক্ষ, সরকার, ঐকমত্য কমিশন—আমরা সবাই মিলে পুরোনো যে ব্যবস্থা, পুরোনো যে দল, তাদেরকে গোল দেব। কিন্তু বিএনপি ওই পুরোনো দলে জয়েন করে নিজেরা গোল খাওয়ার বেদনা নিয়ে এখন ঘুরছে।’
