দক্ষিণ কোরিয়ার লেখিকা বেক সে-হি আর নেই
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬:২৫, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় বই আই ওয়ানট টু ডাই বাট আই ওয়ান্ট টু ইট তেওকবাক্কি’ এর লেখিকা বেক সে-হি মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৫ বছর।
২০১৮ সালে প্রকাশিত এই বইটি লেখিকার মনোবিশারদের সঙ্গে বিষণ্ণতা নিয়ে আলাপচারিতার সংকলন। বইটি প্রকাশের পরই কোরিয়া ও বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে—মানসিক স্বাস্থ্য ও বিষণ্ণতা নিয়ে খোলামেলা আলোচনার জন্য বইটি পাঠকদের মনে গভীর ছাপ ফেলে। ২০২২ সালে ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক পরিসরেও বইটি বিপুল প্রশংসা অর্জন করে।
বেক সে-হি’র মৃত্যুর কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার অঙ্গদাতা সংস্থা জানায়, মৃত্যুর পর তিনি নিজের হৃদপিণ্ড, ফুসফুস, লিভার ও কিডনি দান করেছেন, যা পাঁচজন মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে। তার বোন এক বিবৃতিতে বলেন, “সে-হি সবসময় চেয়েছিল নিজের লেখা ও হৃদয়ের মাধ্যমে মানুষের মাঝে আশা ছড়িয়ে দিতে।”
২০১৮ সালে প্রকাশিত I আই ওয়ানট টু ডাই বাট আই ওয়ান্ট টু ইট তেওকবাক্কি’ ইতিমধ্যেই ২৫টি দেশে অনূদিত হয়েছে এবং বিক্রি হয়েছে ১০ লাখেরও বেশি কপি। বইটির সবচেয়ে পরিচিত পঙ্ক্তি—“মানুষের মন এমন, যে মরতে চাইলেও, একই সময়ে তেওকবাক্কি খেতেও চায়।”
এই সরল অথচ গভীর চিন্তাই বইটিকে বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী করে তোলে।১৯৯০ সালে জন্ম নেওয়া বেক সে-হি বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃজনশীল লেখালেখি নিয়ে পড়াশোনা করেন এবং পাঁচ বছর একটি প্রকাশনা সংস্থায় কাজ করেন। ব্লুমসবারি প্রকাশনার সংক্ষিপ্ত জীবনীতে বলা হয়েছে, প্রায় এক দশক ধরে তিনি ডিস্টাইমিয়া (দীর্ঘস্থায়ী হালকা বিষণ্ণতা) রোগে ভুগছিলেন—যা তার বইয়ের মূল অনুপ্রেরণা ছিল।
ইংরেজি অনুবাদক অ্যান্টন হার ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, “তার অঙ্গ পাচজন মানুষকে বাঁচিয়েছে, কিন্তু তার লেখনী লাখো পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করেছে।”
