রক্তাক্ত ফিলিস্তিনের নাদিন আইয়ুব বিশ্ব সুন্দরীর মঞ্চে 

বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার মঞ্চে প্রথমবার অংশ নিতে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনের সুন্দরী নাদিন আইয়ুব। প্রচলিত ধারার সুন্দরীদের মতো নন নাদিন।

আগামী নভেম্বরে ব্যাংককে অনুষ্ঠিতব্য ৭৪তম `মিস ইউনিভার্স‘ প্রতিযোগিতায় ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্ব করবেন ২৭ বছর বয়সী নাদিন আইয়ুব। বিশ্বের ১৩০টিরও বেশি দেশের সুন্দরীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লড়বেন তিনি। 

নাদিন আইয়ুব বলেন, `গাজার এই কঠিন সময়ে আমি ফিলিস্তিনের মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে দাঁড়াতে চাই। আমি সেই নারীদের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই যারা প্রতিকূলতার মধ্যেও দৃঢ় থাকে। আমি সেই শিশুদের প্রতিনিধি, যাদের চোখে এখনো মুক্তির আশার আলো জ্বলে। আমরা শুধু কষ্টের প্রতীক নই,  সাহস, আশাবাদ আর টিকে থাকার প্রতিচ্ছবি হয়ে বিশ্বে ছড়াতে চাই।‘

ফিলিস্তিনের প্রথম 'মিস ইউনিভার্স' নাদিনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বিশ্ববিখ্যাত প্রসাধনী ব্র্যান্ড হুদা বিউটি। এই সহযোগিতাই এখন সৌন্দর্যের দুনিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সম্প্রতি হুদা কাট্টানের সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশিত এক পোস্টে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। 

সেখানে হুদা কাট্টান বলেছেন, `আমরা গর্বিত যে প্রথম ফিলিস্তিনি মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগী নাদিন আইয়ুবকে সমর্থন করছি। এই মুহূর্ত শুধু একজন প্রতিযোগীর নয়, তিনি শক্তি, গর্ব ও প্রতিনিধিত্বের প্রতীক।‘

নাদিনের প্রতিষ্ঠান 'অলিভ গ্রিন একাডেমি' ও 'সাইয়‍্যিদাত ফিলাস্তিন ফাউন্ডেশন' পরিবেশ, শিক্ষা ও নারী ক্ষমতায়নের বিষয় নিয়ে কাজ করে।

বরাবরই ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলেছেন ইরাকি বংশোদ্ভূত মার্কিন উদ্যোক্তা হুদা কাট্টান। ভোগ আরাবিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন,  `একবার যখন আপনি গাজা ও ফিলিস্তিন সম্পর্কে জানবেন তখন আর চোখ ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।‘    

তিনি আরও বলেন,  `শুরুতে অনেকেই গাজা নিয়ে কথা বলায় ভয় দেখাত। কিন্তু আমি দমে যাইনি। আমি যখন ফিলিস্তিন নিয়ে কথা বলা শুরু করি তখন অনলাইনে ভয়াবহ বার্তা পেতাম। বলা হতো, আমি সব হারাব। ব্যবসা ধ্বংস হয়ে যাবে। এতে আমি অনেক দিন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। একসময় নিজেকে সামলে ঠিক করি, সত্য থেকে আর পিছপা না। ‘

তিনি আরও বলেন, 'সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আগে মানুষ দেখত কে কী লাইক দিচ্ছে। তাই আমি ইচ্ছা করে ফিলিস্তিন-সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে লাইক দিতাম যেন সবাই দেখে। সময়ের সঙ্গে আমার কণ্ঠ আরও শক্ত ও স্পষ্ট হয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ যে সত্যটা দেখতে পেরেছি। আমি আর কখনো নীরব থাকব না।'