প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা
শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯:২৬, ৭ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০৩:১৮, ৮ অক্টোবর ২০২৫

আজ (৭ অক্টোবর) প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজের জন্মদিন। ১৯৪৮ সালের এই দিনে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার বড়তলী গ্রামে জন্ম নেন বাংলা কবিতার এই কিংবদন্তি কবি। ষাটের দশকে লেখালেখি শুরু করলেও, তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ প্রকাশিত হয় ১৯৮৬ সালে—যা তাকে রাতারাতি জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেয়।
এরপর দীর্ঘ ২৬ বছর পর ২০১২ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতা একাত্তর’ এবং ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয় তার শেষ কাব্যগ্রন্থ ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’। অল্প সংখ্যক কবিতা লিখেও হেলাল হাফিজ হয়ে উঠেছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক অদ্বিতীয় কণ্ঠ, যার কবিতার পংক্তি আজও মানুষের মুখে মুখে ফিরে আসে।
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় তিনি লেখেন ঐতিহাসিক কবিতা ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’।
এই কবিতার প্রথম দুটি চরণ—
“এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়;
এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।”
এই দুটি লাইন সে সময় হয়ে ওঠে মুক্তিযুদ্ধপূর্ব প্রজন্মের প্রতিবাদের স্লোগান। কবিতাটি কোনো পত্রিকা ছাপতে সাহস না পেলেও আহমদ ছফা ও হুমায়ুন কবির তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে লিখে দিয়েছিলেন, যা সঙ্গে সঙ্গেই আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠে।
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ভেসে গেল জন্মদিন
কবির জন্মদিনে ভক্ত-পাঠকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন তার স্মৃতি।
শুভজন তরুণ রাসেল লিখেছেন—“স্মৃতি কখনো পুরনো হয় না, পুরনো হয় মানুষ। জন্মদিনে ভালোবাসা জানবেন প্রিয় কবি।”
মেহেদী হাসান স্মরণ করেছেন তার দ্রোহী কবিতাকে, লিখেছেন—“ভাষা ও সাহিত্যে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৫ সালে তিনি মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হন। শুভ জন্মদিন কবি।”
রিক্তা রিচি লিখেছেন—“জীবন খরচ করে যিনি কবিতা লিখেছেন, যিনি বেছে নিয়েছিলেন একাকিত্ব—আজ তাঁর জন্মদিন। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানবেন কবি।”
আরও অনেকে কবির পঙক্তি উদ্ধৃত করে লিখেছেন ভালোবাসার বার্তা—“এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।”