রিয়াদ বইমেলায় আলোচনা
কেন্দ্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও লেখালেখির ভবিষ্যৎ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩:৩০, ৮ অক্টোবর ২০২৫

রিয়াদ আন্তর্জাতিক বইমেলায় আয়োজিত “প্রযুক্তি: লেখালেখির জগতে তোমার প্রবেশদ্বার” শীর্ষক কর্মশালায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এআই ও সৃজনশীল লেখালেখির সম্পর্ককে ঘিরে প্রাণবন্ত আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে সৌদি আরবের সাহিত্য, প্রকাশনা ও অনুবাদ কমিশন, যা অনুষ্ঠিত হয় প্রিন্সেস নূরাহ বিনতে আবদুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে।
কর্মশালার শুরুতে বক্তারা ভাষার সৌন্দর্য ও কল্পনার ক্ষমতার মাধ্যমে সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন এমন বিশিষ্ট লেখকদের অবদান তুলে ধরেন। তাঁদের মতে, শব্দ ও ভাবের মিশেলে যে লেখকরা পাঠকের চেতনাকে নাড়া দেন, তারাই প্রকৃত অর্থে ভাষার শিল্পী।
দুই ধরনের লেখালেখি ও সৃজনশীলতার উপাদান
আলোচনায় লেখালেখির দুই ধরনকে আলাদা করে ব্যাখ্যা করা হয়—
কার্যকরী বা প্রাতিষ্ঠানিক লেখালেখি (Functional Writing): নির্দিষ্ট কাঠামো ও নিয়ম মেনে লেখা, যেমন রিপোর্ট, অফিসিয়াল নোট বা প্রস্তাবনা।
সৃজনশীল লেখালেখি (Creative Writing): যেখানে লেখক স্বাধীনভাবে কল্পনা, বর্ণনা ও আবেগ ব্যবহার করেন।
বক্তারা বলেন, প্রকৃত সৃজনশীলতা আসে প্রতিভা, কৌশল ও ভাষাজ্ঞানের সমন্বয়ে। শুধু ধারণা নয়, ভাষার গভীর বোঝাপড়া ও আবেগ প্রকাশের দক্ষতাই একজন লেখককে অনন্য করে তোলে।
লেখালেখিতে এআই এর বিপ্লবী ভূমিকা
কর্মশালায় বিশেষভাবে আলোচিত হয় জেনারেটিভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Generative AI)—যে প্রযুক্তি এখন বিভিন্ন ধরনের টেক্সট, কবিতা, গল্প, বিশ্লেষণ এমনকি সংলাপও তৈরি করতে সক্ষম। বক্তারা বলেন, এআই এখন “AI Agent” বা কৃত্রিম সিদ্ধান্তগ্রহণকারী সহচরে রূপ নিচ্ছে—যে শুধু লিখতে নয়, ভাবতে, বিশ্লেষণ করতে ও সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এই পর্যায়ে মানুষ ও প্রযুক্তির সম্পর্ক নতুন এক যুগে প্রবেশ করছে, যেখানে লেখকরা AI-এর সহায়তায় নিজের চিন্তা ও সৃজনশীলতাকে বৈশ্বিক পরিসরে পৌঁছে দিতে পারছেন।
সেশনের শেষভাগে অনুষ্ঠিত হয় ডিজিটাল এডিটিং টুলসের ব্যবহারিক প্রদর্শনী। বক্তারা বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি এখন লেখালেখির অপরিহার্য অংশ—এটি লেখকের সম্পাদনা দক্ষতা বাড়ায়, সৃজনশীল পরিসর প্রসারিত করে এবং বৈশ্বিক পাঠকের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করে।