সংস্কৃতিকর্মী-লেখকদের হুঁশিয়ারি
খোঁড়া যুক্তিতে বইমেলা বন্ধ করা যাবে না
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:২৩, ৫ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০১:২৬, ৬ অক্টোবর ২০২৫

কোনো খোঁড়া যুক্তি দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে অমর একুশে বইমেলা বন্ধ করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশের সংস্কৃতিকর্মীরা। তারা বলেছেন, বইমেলা নিয়ে একটি মহল সচেষ্ট, বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে মেলা বন্ধ করতে চায়। দেশের সাংস্কৃতিক অর্জনকে বিনষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে।
রবিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীতে বাংলা একাডেমির সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে সংস্কৃতিকর্মী ও লেখকেরা এসব কথা বলেন। রাজধানীর ৩১টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের জোট ‘গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্য’ এ সমাবেশের আয়োজন করে। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সমন্বয়কারী মফিজুর রহমান।
সমাবেশে উদীচীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাবিবুল আলম বলেন, 'অমর একুশে বইমেলা বাঙালির আবেগ ও সাহিত্য-সংস্কৃতির বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এটিকে বন্ধ করা যাবে না।'
চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সহসভাপতি কামরুজ্জামান বলেন, 'নির্বাচনের সময় বা রমজান মাসেও মেলা হয়েছে, তাই বন্ধ রাখা যায় না।'
কবি হাসান ফখরি বলেন, 'নিরাপত্তার জন্য মেলার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে, অন্য কোনো অনুষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দিয়ে বইমেলা বন্ধ করা যায় না।'
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনের পরে দেশের প্রগতিশীল চেতনার প্রতি আঘাত করার চেষ্টা চলছে। মাজার–খানকা, বাউলগানের আসর, নাটক ও যাত্রাপালা বন্ধ করার মতো ঘটনা ঘটছে।
সমাবেশ শেষে সংস্কৃতিকর্মী ও লেখকেরা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজমের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন। এ সময় মহাপরিচালক জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে মেলা আয়োজন একাডেমির জন্য ভালো। তবে প্রকাশক, মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা শেষে মেলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার, সংহতি সাংস্কৃতিক সংসদের সম্পাদক সিকদার হারুন, বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুন নুজহাত, শহীদ আসাদ পরিষদের সদস্য আরিফ খান, প্রগতি লেখক সংঘের লেখক কামাল হোসেন, জাতীয় গণফ্রন্টের আহ্বায়ক রজত হুদা ও মাওলানা ভাসানী পরিষদের নেতা বেলাল চৌধুরী বক্তব্য দেন।