ডেঙ্গুতে আরও ৫ মৃত্যু, ভর্তি ৯৫৩ জন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:২০, ১২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৯:৪৩, ১২ অক্টোবর ২০২৫

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (আজ রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজন মারা গেছে। এ নিয়ে চলতি মাসের ১২ দিনে ৩২ ও এ বছর মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ২৩০ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রবিবারের (১২ অক্টোবর) বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সবাই পুরুষ। তাদের বয়স ছিল যথাক্রমে ৬৫, ৫৩, ৫০, ৩৫ এবং ২৪ বছর। তাদের দুজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। বাকি তিন জন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ৯৫৩ রোগী। এতে এ মাসের প্রথম ১২ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭ হাজার ২১৭ জন এবং এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৪ হাজার ৫৫৯ জন।
এ বছর সবচেয়ে বেশি ১৫ হাজার ৮৬৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে সেপ্টেম্বর মাসে ও মৃত্যু হয়েছে ৭৬ জনের।
এর আগে জুলাই মাসে ১০ হাজার ৬৮৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন, মে মাসে ১৭৭৩ জন, জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫১ জন এবং আগস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে।
জুলাই মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার আগে জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে সাতজন, মে মাসে তিনজন, জুন মাসে ১৯ জন, আগস্টে ৩৯ জন মারা যায়। মার্চ মাসে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি নতুন রোগীদের মধ্যে ২৬৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ১৯৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৪৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৭ জন, খুলনা বিভাগে ৯৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬৯ জন, রংপুর বিভাগে ২৩ জন, বরিশাল বিভাগে ১৪১ জন এবং সিলেট বিভাগে আট জন রোগী ভর্তি হয়েছে।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২ হাজার ৫৪৬ জন রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৮৮৯ জন, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ৬৫৭ জন ভর্তি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।