ঢামেক হাসপাতালে ফের চালু অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন
ঢামেক প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২:৫৩, ১২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০২:৫৬, ১২ অক্টোবর ২০২৫

পাঁচ বছর পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আবার বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট বা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন চিকিৎসা চালু হয়েছে। এর ফলে এখন থেকে দেশের রক্তজনিত জটিলতা ও ক্যানসার আক্রান্ত রোগীরা এই হাসপাতালে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করতে পারবে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে ঢামেকের নতুন ভবনের ১০ তলায় এই সেবার উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
এসময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেলে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের রোগীদের প্রতি সেবাটি আবার শুরু হলো। যাদের সামর্থ্য রয়েছে, তারা গরিব রোগীদের জন্য সুযোগ করে দিন।’
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জানান, দেশে বর্তমানে বোন-ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের রোগীর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। প্রতি বছর প্রায় এক হাজার রোগীকে এই সেবা দেওয়া হয়। চলতি বছর ইতিমধ্যে ২০০টি ট্রান্সপ্লান্ট সম্পন্ন হয়েছে।
অসহায় দরিদ্র রোগীদের এই চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ ফান্ড বরাদ্দ করা হয়েছে বলেও জানান উপদেষ্টা নূরজাহান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, উপপরিচালক ডা. মো. আশরাফুল আলম, সহকারী পরিচালক ডা. মো. আব্দুর রহমানসহ হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা উপস্থিত ছিলেন ।
উদ্বোধন শেষে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম জানান, ‘করোনার সময় হাসপাতালের বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ২০২৩ সালে পুনরায় শুরু করার চেষ্টা করা হলেও নানা কারণে তা সম্ভব হয়নি। আজ অবশেষে এটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই চিকিৎসা একটি খরচসাপেক্ষ চিকিৎসা। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা একটি শিক্ষা ফান্ড দিয়েছি। রোগীদের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে যাদের সামর্থ্য আছে, তারা সুযোগটা নিতে যাবেন না। কিন্তু যাদের নেই, তারা অবশ্যই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সুযোগটি গ্রহণ করবেন।’
অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘এই কেন্দ্রটি আন্তর্জাতিক মানের বিএমটি ইউনিট হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে সব ধরনের ল্যাব ফ্যাসিলিটিজ রয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে দুইজন দীর্ঘ মেয়াদে প্রশিক্ষিত হেমাটোলোজিস্ট এখানে অংশ নেবেন এবং ঢামেকে একজন সহায়তা করবেন। আমরা আশা করি আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট এখানে হবে।’
অনুষ্ঠানে হাসপাতালের নতুন সিসিইউ বেড, নতুন আল্ট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র, কিছু টিকিট কাউন্টার ও অন্যান্য আধুনিক পরিবর্ধন ঘুরে দেখেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও বিশেষ অতিথিরা।