ডেঙ্গুতে দিনের ৪ মৃত্যুই ঢাকায়

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আরও চার জন মারা গেছে। মারা যাওয়া সবাই ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ছিল। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন চিকিৎসা নিচ্ছিল। অপর দুজন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিল। মারা যাওয়া সবাই পুরুষ, যাদের বয়স ১৩, ১৪, ৩৯ ও ৫৫ বছর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বৃহস্পতিবারের (৯ অক্টোবর) বুলেটিনে এই তথ্য জানায়। 

অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর এখন পর্যন্ত এ নিয়ে ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়াল ২২৪ জনে। 

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৮১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এতে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫২ হাজার ৮৮৫ জন।

এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয় সেপ্টেম্বর মাসে, মৃত্যুও ছিল সর্বোচ্চ। ওই মাসে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়, মৃত্যু হয় ৭৬ জনের।

অক্টোবরের আট দিনে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৫ হাজার ৫৪৩ জন; আর মারা গেল ২৬ জন।

এর আগে জুলাই মাসে ১০ হাজার ৬৮৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন, মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩ জন, জুনে ৫ হাজার ৯৫১ জন এবং আগস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়।

জুলাই মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪১ জন মারা যায়। তার আগে জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন জন, এপ্রিলে সাত জন, মে মাসে তিনজন, জুনে ১৯ জন ও আগস্টে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়। মার্চ মাসে কারো মৃত্যুর তথ্য দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৭৮ জন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়।

এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ১০১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮২ জন, খুলনা বিভাগে ৪৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬৩ জন, রংপুর বিভাগে ৩২ জন, বরিশাল বিভাগে ১৩০ জন এবং সিলেট বিভাগে সাত জন রোগী ভর্তি হয়।

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ২ হাজার ৪৫২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৮২৭ জন, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ৬২৫ জন চিকিৎসা নিচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।