‘এভিডেন্স অ্যাম্বাসেডর’ স্বীকৃতি পেল বিএমইউ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:২২, ৮ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২৩:৫২, ৮ অক্টোবর ২০২৫

প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসাসেবায় বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। ’ওয়ার্ল্ড এভিডেন্স-বেইসড হেলথকেয়ার (ইবিএইচসি) ডে’ ২০২৫ সালের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে বিএমইউকে ‘এভিডেন্স অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে এই স্বীকৃতি দিয়েছে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ‘ওয়ার্ল্ড ইবিএইচসি ডে’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
বুধবার (৮ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানানো হয়, এই স্বীকৃতির ফলে বিশ্বে যে সব প্রতিষ্ঠান প্রমাণভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে কাজ করছে, বিএমইউ বিশ্বের সেসব খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাতারে স্থান পেল। এভিডেন্স অ্যাম্বাসেডর হিসেবে এই স্বীকৃতি বিএমইউ এর গবেষণা, চিকিৎসা উৎকর্ষতা, এবং তথ্যনির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণে অবিচল অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসায় বিশেষ অবদানের জন্য বিএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমকে ভিডিওগ্রাফি ক্যাটাগরিতে ও প্রতিষ্ঠানভিত্তিক মান নিয়ন্ত্রণ সেলের (আইকিউএসি) অতিরিক্ত পরিচালক ডা. দীনে মুজাহিদ ফারুক ওসমানীকে ভিজ্যুয়াল মিডিয়া ক্যাটাগরিতে অ্যাম্বাসেডর হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, বিশিষ্ট লিভার রোগ বিশেষজ্ঞ ও বিএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রমাণভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) উদ্যোগে এভিডেন্স বেইজড মেডিসিন বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তারা আরও জানায়, ভিডেন্স বেইজড মেডিসিন প্র্যাকটিস বা প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসাবিদ্যার চর্চা চিকিৎসা ব্যয় কমাতে ভূমিকা রাখবে এবং একই রোগীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে লিখিত ওষুধ ও ইনভেস্টিগেশনে বড় ধরনের পার্থক্য এড়ানো সম্ভব হবে। এ ছাড়া মেডিক্যাল অডিট ও ক্লিনিক্যাল অডিট বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান আহরণসহ বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসা চর্চায় এভিডেন্স বেইজড মেডিসিনের বিরাট গুরুত্ব রয়েছে, যা চিকিৎসাসেবা, চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় গুণগত মানবৃদ্ধির মাধ্যমে সামগ্রিক স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে বড় পরিবর্তন সাধন করবে।